আশাবুল হোসেন, কলকাতা: পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে, মঙ্গলবার বিধানসভায় আসতে চলেছে প্রস্তাব। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই প্রস্তাব আনছেন। ২ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হবে এই প্রস্তাবে। শাসক-বিরোধী দুপক্ষই আলোচনায় অংশ নেবেন। আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন, জোরকদমে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েও শেষ রক্ষা হল না, অসমে ভয়াবহ বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু !
আগামী ৯ তারিখে বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হবে। ঠিক তারপরের দিনই পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়। খোদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি এই প্রস্তাবটি নিয়ে আসছেন। এনিয়ে শাসক-বিরোধী দুপক্ষের মধ্যেই আলোচনা চলবে। সেখানে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে জাতীয়তাবাদী যে মিছিল গোটা রাজ্যজুড়ে সংগঠিত হয়েছিল, এই ইস্যুতে তৃণমূল পুরোপুরি কেন্দ্রের সঙ্গে আছে। এই বার্তাটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, আমরা দেখেছি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশের মাটিতেও এনিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন সেখানে, শাসকদলের সঙ্গে মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু যখন আমার দেশের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠে আসে, তখন দেশের স্বার্থই সবার উপরে থাকে। '
অপরদিকে, যারা কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছিল, বা এই ঘটনায় যুক্তরা কেন এখনও ধরা পড়েনি এনিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। মনে করা হচ্ছে যে, ওই আলোচনায় এই বিষয়গুলিই আসতে পারে। ঘটনার পরপরেই লোকসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। বিরোধী জোট I.N.D.I.A-তে রয়েছিলেন যারা, বারবার কংগ্রেস ও বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে প্রশ্নগুলি তোলা হচ্ছে, কেন অপরাধীরা এখনও ধরা পড়ল না ? লোকসভাতেও এই বিষয় নিয়ে উত্তাল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার প্রশ্নে ঐক্য়বদ্ধভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে থাকলেও, এবার প্রধানমন্ত্রী মোদির দিকে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। বললেন, হামলার তিনদিন আগেই সেখানকার গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। সেই কারণে মোদিজি কাশ্মীর সফর বাতিল করেছিলেন। যার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছে বিজেপি। সর্বভারতীয় সভাপতি কংগ্রেস মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, হামলার তিনদিন আগেই সেখানকার গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। সেই কারণে মোদিজি কাশ্মীর সফর বাতিল করেছিলেন।
বিজেপি মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, বিরোধী দলের সভাপতির (মল্লিকার্জুন খাড়গে) মুখ থেকে এর থেকে বড় দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য হতে পারে? বৈসরনের মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে কেন পুলিশ-আধা সেনা কিংবা সেনা ছিল না? এত বড় জঙ্গি হানার কোনও আঁচই কি গোয়েন্দাদের কাছে ছিল না? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।