অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: এবার রেলের হাসপাতালও (Railway Hospitals) কি বেসরকারি (Private companies) হাতে যাবে? সূত্রের খবর, হাসপাতালে পিপিপি মডেল (PPP Model) চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছে রেলমন্ত্রক (Ministry of Railways)। এর জন্য কমিটি তৈরি করেছে রেলবোর্ড (Railway Board)। সমস্ত প্রিন্সিপাল চিফ মেডিক্যাল ডিরেক্টরদের পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। 


রেল বাজেটে একগুচ্ছ ঘোষণা


২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য বাজেটে রেলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘২,০০০ কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্ককে আনা হবে বিশ্বমানের দেশীয় প্রযুক্তি কবচের আওতায়। ৩ বছরে ৪০০ নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু হবে। ১০০ গতি শক্তি কার্গো টার্মিনাল তৈরি হবে। ২০২২-২৩ সালে জাতীয় সড়কের নেটওয়ার্ক ২৫ হাজার কিলোমিটার প্রসারিত করা হবে। ২০২২-২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান ফর এক্সপ্রেসওয়ে প্রণয়ন করা হবে, যাতে মানুষ ও পণ্যের দ্রুত চলাচল সম্ভব হয়। ২০২২-২৩ সালে জাতীয় মহাসড়কের নেটওয়ার্ক ২৫ হাজার কিলোমিটার প্রসারিত করা হবে। জনসাধারণের সম্পদের পরিপূরক হিসাবে ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। সমস্ত মোড অপারেটরদের মধ্যে ডেটা বিনিময় ইউনিফাইড লজিস্টিক ইন্টারফেস প্ল্যাটফর্মে আনা হবে, যা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।’


রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে জল্পনা


গত বছর তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সংসদে জানিয়েছিলেন রেলের বেসরকারিকরণ করা হবে না। তিনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র যদি হাতে হাত মিলিয়ে চলতে শুরু করে, তাহলে দেশে বৃদ্ধির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবে। একইসঙ্গে আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। রেলের বেসরকারিকরণ করা হবে না। রেল প্রত্যেক ভারতীয়র সম্পত্তি। আর তেমনটাই থাকবে। রেল সবসময় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই থাকবে।’


কিন্তু বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার রেলের বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রেলের সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রেলের হাসপাতাল বেসরকারি হাতে যাওয়ার জল্পনা শুরু হওয়ায় ফের সরব বিরোধীরা।