কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: লকডাউনে (Lockdown) পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) নিদারুণ দুর্দশা বাংলা, বিহার ও অসমে বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়নি। অসংখ্য পরিয়ায়ী শ্রমিকের মৃত্যুও আর পাঁচটা সাধারণ সমস্যার সঙ্গেই মিশে গিয়েছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপের সমীক্ষায়।


পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা: দীর্ঘ করোনাকাল, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিদারুণ দুর্দশা। বেঘোরে মৃত্যু। অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টের ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল আম জনতা। ৩ রাজ্যের ভোটের প্রচারে কি আদৌ গুরুত্ব পেয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা? একটি সমীক্ষা বলছে, হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুও আর পাঁচটা সাধারণ সমস্যার সঙ্গেই মিশে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়নি লকডাউনে নিদারুণ দুর্দশার শিকার হওয়া পরিযায়ীদের রোজনামচা।


অসম, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ তিন রাজ্যেই এলাকা ধরে ধরে সমীক্ষা চালিয়েছিল ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপ। পৃথক ৩টি সমীক্ষা রিপোর্ট ‘মাইগ্র্যান্টস ইন ইলেক্টোরাল টাইম’ নামে প্রকাশ্যে এল শুক্রবার। ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপের সাম্মানিক অধিকর্তা সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কোনও কিছুই আসেনি। ভোটের সময় তাঁদের কথা কেউ মনে রাখে না। লকডাউনের দুর্গতি সেখানেই হারিয়ে গেল।’’ ক্যালকাটা রিসার্চ গ্রুপের পক্ষ থেকে রণবীর সমাদ্দার বলেন, “শাসক-বিরোধীদের প্রচারে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা গুরুত্ব পায়নি। সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। এমনকি রাজ্য সরকার নির্বাচনী প্রচারে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যা যা করেছে তাও বলেনি।’’


রাজ্যের ক্ষেত্রে এই সমীক্ষা চলে উত্তর দিনাজপুর, মালদা, পুরুলিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে। রিপোর্ট বলছে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি নিয়ে যত হইচই হয়েছে, শাসক-বিরোধীদের ভোটপ্রচারে তাঁদের কষ্ট তেমন গুরুত্ব পায়নি। এমনকি ক্ষমতায় এলে, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সরকার কী করবে, তার কোনও স্পষ্ট দিশাও ছিল না শাসক-বিরোধীর ভোটপ্রচারে।