কলকাতা: আজ মহাষষ্ঠী। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতোই গত কাল অর্থাৎ মহাপঞ্চমী থেকে দুর্গোৎসবে সামিল হয়েছে এএমআরআই হাসপাতালগুলি। শারদোৎসব উপলক্ষ্যে দেবীর ম্যুরালে সেজে উঠেছে ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর এবং সল্টলেকে এএমআরআই গোষ্ঠীর তিনটি হাসপাতাল। নার্সিং,হাউসকিপিং এবং এফএন্ডবি বিভাগের সমস্ত ইউনিটের কর্মীদের শৈল্পিক প্রচেষ্টাই এই উদ্যোগের মূল মন্ত্র।
'মেয়াদ-উত্তীর্ণ' সাজ
শারদোৎসব উপলক্ষ্য ব্রাদার শিজো জোসেফ,সিস্টার বিজি এবং সিস্টার বিজিতা কিষাণ ও তাঁদের পুরো টিম মিলে একটি দুরন্ত প্রয়াস নিয়েছিলেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ ৭০০টি ওষুধ ও ক্যাপসুল ব্যবহার করে দেবীর একটি ম্যুরাল তৈরি করেছেন তাঁরা। যাতে সমান ভাবে হাত লাগান এএমআরআই মুকুন্দপুরের নার্সদের একটি দল। এএমআরআই গোষ্ঠীর সিইও রূপক বড়ুয়া পরে বলেন, 'সব অর্থেই ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে ওঁরা শুধুমাত্র শৈল্পিক দক্ষতাই প্রকাশ করেননি। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার করেও যে সুন্দর কিছু তৈরি করা যায় সেটিও দেখিয়ে দিয়েছেন।'
সেজেছে বাকি হাসপাতাগুলিও...
এএমআরআই-র অন্য দুটি ইউনিট,ঢাকুরিয়া এবং সল্টলেকেও সাজানো হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। আর এই সাজে শরতের নানা বিশিষ্টতা ব্যবহার করা হয়েছে। সিইও-র কথায়, 'উৎসবের দিনগুলিতে আমরা সবসময় আমাদের হাসপাতালগুলিকে সাজিয়েছি। এই বছরও সেই ঐতিহ্য বজায় রাখছি। যদিও আমরা কোনো আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করব না,তবে এটি আমাদের কর্মীদের সৃজনশীল প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ দেয়।'
আনন্দে বাধা কি বৃষ্টি?
পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় মানুষের ঢল। কিন্তু আবহাওয়ার পূর্বাভাস খুব একটা আশার কথা বলছে না। উত্তর-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা আজ। মহাষষ্ঠী অর্থাৎ ১ অক্টোবরে এই নিম্ন চাপ তৈরি হওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ওই নিম্নচাপই আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা। সপ্তমীর মধ্যে তা শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। যার জেরে পুজোয় বৃষ্টিতে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ষষ্ঠী থেকে দশমী, পুজো জুড়েই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা গোটা দক্ষিণবঙ্গে। সপ্তমী, অষ্টমী’তে কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। নবমী, দশমীতে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সপ্তমীর দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। তা হলে কি শারদোৎসব পুরোটাই মাটি এবার? আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় কী?
আরও পড়ুন:এসএসসি মামলায় চার্জশিটে মেলেনি সরকারি অনুমতি, দাবি সিবিআই-র