শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: তৃণমূল (TMC) পরিচালিত কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভায় কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগ চেয়ারম্যানের (Chairman)। পুরভবনের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা (CCTV camera)। ঘরে বসেই নজর রাখবেন চেয়ারম্যান। নাগরিক পরিষেবা সুনিশ্চিত করাই লক্ষ্য বলে দাবি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের (Rabindranath Ghosh)। উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধীরা।
ঘরে বসে নজরদারি
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোখ পুর চেয়ারম্যানের। নিজের ঘরে বসেই চলছে নজরদারি। তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভায় কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে নতুন উদ্যোগ চেয়ারম্যানের। এর জন্য পুরভবনের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নিজের ঘরে বসে প্রতিনিয়ত মনিটরে নজর রাখছেন চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কখনও ভিডিও কলে কথা বলছেন সাফাই কর্মীদের সঙ্গে। পুর চেয়ারম্যানের দাবি, নাগরিকরা যাতে পরিষেবা পান, তা সুনিশ্চিত করতেই নজরদারির সিদ্ধান্ত।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, 'কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে এই উদ্যোগে কর্মচারীরা সাড়া দিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘরে বসে দেখার চেষ্টা করছি। সাফাই কর্মীরা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা ভিডিও কলে তদারকি করছি। যাতে নাগরিকরা পরিষেবা পায় তার জন্য যা যা করার করছি।'
তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যানের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধীরাও। কোচবিহার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর দীপক সরকার বলছেন, 'প্রশাসনিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার তো অস্বীকার করা যাবে না। পর্যবেক্ষণ হোক, যাদের গাফিলতি ধরতে এই পর্যবেক্ষণ তাতে বঞ্চনার জায়গাটাও যেন উঠে আসে। সাফাই কর্মীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না সেটাও যেন চেয়ারম্যান সাহেব দেখেন।'
কোচবিহার পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরসভায় দালালরাজ বন্ধ করা, বকেয়া সম্পত্তি কর উদ্ধার-সহ একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এবার সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরকর্মীদের কাজের ওপর নজরদারি, সেই তালিকায় নতুন সংযোজন।