পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ২ দিনের সদ্যজাতকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামেন স্বামী-স্ত্রী। তারপর সেই শিশুসন্তানকে হস্তান্তর করতেই, হাতেনাতে পাকড়াও। রবিবার শালিমার স্টেশনে এই ঘটনার পরই, পর্দাফাঁস হল আন্তঃরাজ্য শিশুপাচার চক্রের। 


বিহারের পাটনা থেকে শিশু এনে, CID-র জালে ধরা পড়ল দম্পতি। CID-র তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত মানিক হালদার ও তাঁর স্ত্রী মুকুল সরকার, ঠাকুরপুকুরের ডায়মন্ড পার্কের বাসিন্দা। শিশুপাচারকাণ্ডে ধৃত মানিক হালদার বলেন, 'এঁরা আনতে বলে, এঁরাই ধরে রেখেছে। কী করব! এঁরাই শিশু আনতে বলে, এঁরাই ধরেছে। আর কী করব। এঁরাই অনুরোধ করেছে, আমার বাড়িতে বাচ্চা নেই, এনে দিন। আমি সাত বছর বিবাহিত, আমাকে বাচ্চা এনে দিন। যেই নিয়ে এসেছি, এঁরাই পুলিশ সেজে ধরেছে। কী করব।'                                                                                      


কিন্তু কীভাবে ফাঁদ পেতেছিল CID?


আন্তঃরাজ্য শিশুপাচার চক্রের পর্দাফাঁস করতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নিয়েছিল তারা। শিশু কিনতে আগ্রহী, এরকম দম্পতি সাজানো হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দুই সদস্যকে। আরেকজনকে সাজানো হয়েছিল তাঁদের আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দিয়ে। CID-র নির্দেশেই তাঁরা ধৃত দম্পতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন। শেষমেশ ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশু কেনার চুক্তি হয়। 


আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্যালে রাতে দ্রোহের গ্যালারিতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, ভাঙল অভয়া মূর্তি!


রবিবার শালিমার স্টেশনে শিশুকে হস্তান্তর নেওয়ার কথা হয়। CID সূত্রে দাবি, সেই মতো শনিবার রাতে পাটনা থেকে ২ দিনের শিশুকন্যাকে নিয়ে হাওড়াগামী দূরন্ত এক্সপ্রেসে রওনা দেন দম্পতি। সেখানে ২ লক্ষ টাকায় সদ্যোজাতকে কেনেন তাঁরা। এদিন সকালে শালিমার স্টেশনে নামেন স্বামী-স্ত্রী। সেখানেই ফাঁদ পেতে অপেক্ষা করছিলেন CID-র অফিসাররা।


শিশুপাচারের অভিযোগে গত কয়েকবছরে অনেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, আন্তঃরাজ্য শিশুপাচার চক্র যে এখনও সক্রিয়, তা এদিনের ঘটনায় ফের সামনে এল। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে