কলকাতা: MBBS-এ ভর্তি ঘিরেও উঠল অনিয়মের অভিযোগ। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে তপশিলি উপজাতির জন্য নির্দিষ্ট আসনে তপশিলি জাতির পড়ুয়াকে ভর্তির অভিযোগ উঠল। জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো হলে তাঁদের ভর্তি বাতিল হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly)। 


 



 


শিক্ষক নিয়োগে ওঠা ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগের মধ্য়েই এবার MBBS-এ ভর্তি ঘিরেও উঠল অনিয়মের অভিযোগ। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে তপশিলি উপজাতির জন্য নির্দিষ্ট আসনে তপশিলি জাতির পড়ুয়াকে ভর্তির অভিযোগ উঠল।  জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো হলে তাঁদের ভর্তি বাতিল হবে।  তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।


চলতি বছরের মে মাসে ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য NEET (UG) পরীক্ষায় বসেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইতিশা সোরেন। জুলাই মাসে ফলপ্রকাশ হয়। ইতিশার Rank হয় ২৮ হাজার ৩১৯. প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর তিনি সরকারি মেডিক্য়াল কলেজে সুযোগ পাননি। আগস্ট মাসে, দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর তিনি বজবজের বেসরকারি কলেজ, জগন্নাথ গুপ্ত মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পান।


মামলাকারীর দাবি, তিনি তপশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সেখানে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে বহু প্রার্থী সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যাঁরা আদৌ তপশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত নন, তাঁরাও সেই কোটায় পড়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।  যাঁদের নাম দেখে তপশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে মনে হচ্ছে তারা কী করে ST তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেন? প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা হয়। মামলাকারী প্রশ্ন, বেসরকারি কলেজে পড়ার খরচ অনেক, সেখানে আমরা পড়ব কী করে? তখন বিচারপতি বলেন, যাঁরা এই নিয়ম বানিয়েছেন তাদের তো কিছু আসে যায় না, তারা তো গজদন্ত মিনারে বসে আছে।

সোমবার, ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন, দেবাশিস ভট্টাচার্যকে সন্ধ্যা ৬ টার সময় আদালতে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো আদালতে হাজির হন তিনি। এদিন, সন্ধে ৬টা থেকে সাতটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত শুনানি হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-সহ সংশ্লিষ্ট সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের থেকে মামলায় নাম থাকা বিতর্কিত পডুয়াদের নাম, ঠিকানা-সহ বিস্তারিত তথ্য তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই পড়ুয়াদের মামলায় পক্ষ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁদের জাতিগত শংসাপত্রও তলব করা হয়েছে।

এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, যদি এই পডুয়াদের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো হয় তাহলে তাঁদের সেই সরকারি কলেজের ভর্তি বাতিল করতে হবে। শূন্যপদে সুযোগ পাবেন যোগ্য প্রার্থীরা। পাশাপাশি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি।  এই পড়ুয়াদের পরে ডেকে পাঠানো হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ৩ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


আরও পড়ুন: Calcutta High Court:'আপনারা কি পোস্ট অফিস?' অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে ED-কে তুলোধোনা বিচারপতির