কলকাতা: হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইটের রেজিস্ট্রারের গাড়িতে ধাক্কা মারার অভিযোগ। সেই ঘটনায় গড়ফা থানায় হাজিরা দিলেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর থানা থেকে বেরোলেন তিনি। নৌশাদের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াচ্ছেন বলেই এভাবে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে। উপরমহলের নির্দেশে পুলিশ কাজ করছে বলে অভিযোগ তাঁর। (Nawsad Siddique)
রবিবার গড়ফা থানায় হাজিরা দেন নৌশাদ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তার পর থানা থেকে বেরোন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নৌশাদ বলেন, "ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াব বলে পুলিশ দিয়ে ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে আমাকে। উপরতলার কথায় কাজ করছে পুলিশ। আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেনি। কিন্তু আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে মামলা দিয়ে, হেনস্থা করে আটকাতে পারবে না আমাকে।" (Kolkata News)
এদিন নৌশাদ বলেন, "আমাকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করে। কোথায় যাচ্ছিলাম, সঙ্গে কে ছিল, জানতে চাইছিল। সব কিছুর উত্তর দিলাম। আমি বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতাম বলে জানালাম। আমিও তো ইমেল পাঠিয়েছি, তার কী হলাম জানতে চাইলাম। বললেন, তদন্ত চলছে। আমার অভিযোগ নিয়ে কিছু হল না, না এফআইআর হয়েছে। এই হল পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। তাই আমাকে এসব ছোটখাটো বিষয়ে ডেকে বসিয়ে রাখছে, হেনস্থা করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পিসিমণিকে প্রস্তুত থাকতে বলছি। আগামী দিনে ডায়মন্ড হারবারে দেখা হবে।"
আরও পড়ুন: একধাক্কায় দেড় হাজার কমল ডেঙ্গি সংক্রমণ, এখনই নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না চিকিৎসকরা
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "বিজেপি-র মদতপুষ্ট, বিজেপি-র টাকায় পুষ্ট। সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের ভোট কাটার খেলায় নেমেছেন। যাঁর নিজের কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব নেই, তিনি বড় বড় কথা বলছেন। নিজে ঘোষণা করে এখন বুঝতে পারছেন, হালে পানি পাবেন না। তাই এখন পালানোর পথ খুঁজছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪ সালে ৭০-৭৫০০০ এবং ২০১৯ সালে প্রায় ৩৫০০০০ লক্ষ ভোটে জিতেছেন। ২০২৪ সালে প্রায় ৫০০০০০ ভোটে জিতবেন। এখন পালানোর পথ খুঁজছেন। নিজের কর্মীদের বস্তাভর্তি বোমা জমা রেখে ,সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছেন উনি।"
গত ১৪ নভেম্বর ইএম বাইপাসে গাড়িতে ধাক্কা মারে নৌশাদের গাড়ি। হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইটের রেজিস্ট্রারের অভিযোগ, তিনি প্রতিবাদ জানাতে গেলে আইএসএফ বিধায়ক, তাঁর গাড়ির চালক এবং নিরাপত্তারক্ষী দুর্ব্যবহার করেন। এর পর ওই তিন জনের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো এবং হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই মামলাতেই নোটিস পাঠিয়ে নৌশাদকে থানায় ডাকে পুলিশ।