সৌভিক মজুমদার, কলকাতা :  অন্য দল সভা করতে পারলে ISF কেন নয় ? ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি চেয়ে আইএসএফের ( ISF ) মামলার শুনানিতে প্রশ্ন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'অন্য দল সভা করতে পারলে ISF কেন নয় ? সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই সভা হোক।' বুধবার শুনানিতে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানাল আদালত। 


মঙ্গলবার ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নৌশাদ সিদ্দিকির দল। ISF-এর অভিযোগছিল , পুলিশ তাদের সভার অনুমতি দিচ্ছে না। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি। তারপর বুধবার ছিল শুনানি।  


আগামী ২১শে জানুয়ারি ISF-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। সেদিন, ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে সভা কর্মসূচি করতে চায় তারা। তাদের আবোদনে সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শর্তসাপেক্ষে মিলল অনুমতি। বিচারপতি প্রশ্ন করলেন, 'অন্য দল সভা করতে পারলে আইএসএফ কেন নয়? সমর্থক কমিয়ে, পুলিশ বাড়িয়ে ওখানেই সভা হোক' । প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানালেন বিচারপতি। গত ২৯ শে নভেম্বর, আদালতের অনুমতি নিয়ে ধর্মতলায় সভা করেছিল বিজেপি। 


এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে সরিয়ে অন্যত্র সভা করা হোক।

গত বছরের ২১শে জানুয়ারি,ISF-তৃণমূলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়। সেই ঘটনার প্রতিবাদে, বিকেলে, রানি রাসমণি রোডে সভা করেন নৌশাদ সিদ্দিকি। ISF বিধায়কের নেতৃত্বে ধর্মতলায় রাস্তা অবরোধ করেন কর্মী-সমর্থকরা। অফিস টাইমে অবরোধ হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নৌশাদ সিদ্দিকিকে টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি এবং লাঠি নিয়ে তাড়া করেন আইএসফের কর্মী-সমর্থকরা। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তৃণমূল বা অন্য দল সভা করলে কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে গন্ডগোলের অভিযোগ ওঠে না। 'কেউ উস্কানি দিতে পারে, কিন্তু নিজের সমর্থকদের আটকানো কার কাজ? ওই জায়গায় সভা করতে বারণ করছে না আদালত। কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করুক আইএসএফ। সমর্থক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে নিজেরাই বিধিনিষেধ আরোপ করুক দল', পরামর্শ আদালতের। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার নিজেদের অবস্থান জানাবে আইএসএফ ও পুলিশ। 


ঠিক এখানেই ৩০ বছর ধরে একুশে জুলাই সভা করে আসছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। লোকসভা ভোটের মুখে ২৯ নভেম্বর ঠিক এখানেই সভা করেন অমিত শাহ। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও রাজ্য় পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেখানে, রাজ্য়ের আপত্তি তো খারিজ হয়েই যায়। উল্টে, তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন প্রধান বিচারপতি।