কলকাতা: নৌশাদ সিদ্দিকি সহ আইএসএফ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামছেন আইএসএফ কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এসে জড়ো হচ্ছেন সমর্থকরা। শিয়ালদা থেকে ধর্মতলায় জমায়েত শুরু হয়েছে। শিয়ালদা থেকে শুরু নাগরিক মঞ্চের মিছিল। কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের।


মিছিলের ডাক:
নৌশাদ সিদ্দিকি সহ আইএসএফ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মিছিলের ডাক নাগরিক মঞ্চের। পুলিশ অনুমতি না দিলেও মিছিলে অনড় আইএসএফ। শিয়ালদায় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি আইএসএফ সমর্থকদের। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগে সরব সিপিএম-বিজেপি-সহ সব বিরোধীরা। 


ঘটকপুকুরে ধস্তাধস্তি:
এদিকে নৌশাদ সিদ্দিকির মুক্তির দাবিতে ঘটকপুকুরে আইএসএফ (ISF) সমর্থকের বিক্ষোভ চলছিল। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এক আইএসএফ কর্মী। তাঁকে তুলতে গেলে ঘটকপুকুরে বিক্ষোভকারী আইএসএফ সমর্থকের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। ওই ব্যক্তির হাতে একটি সিরিঞ্জ ছিল। সেটা দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে বাঁধা দিতে গেলে এক পুলিশকর্মীর মাথায় আঘাত করেন তিনি। তাতে মাথা ফেটে যায় ওই পুলিশকর্মীর।


বিশাল বাহিনী:
আইএসএফ-এর মিছিল ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয় তার জন্য আগেভাগেই তৈরি রয়েছে পুলিশ। বিশাল বাহিনী রয়েছে ধর্মতলায়। পুলিশের লাঠি-বর্মও তৈরি হয়েছে।

ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নাজমুস শাহদত সিদ্দিকি বলেছেন, 'কোটি কোটি মানুষ আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছে। আমরা এখনও শান্তি বজায় রাখতে বলেছি। শুধু আমরা একবার বলব, ঘণ্টায় ঘণ্টায় রাস্তাঘাট অবরোধ করে দেব।' অপর পিরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেছেন, 'নৌশাদকে যখন গ্রেফতার করেছে, ফুরফুরা শরিফের পিরজাদারা এত সহজে ছাড়বে না।' পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, 'একটা বিধায়ককে ধরেছে, আগে অনেক আন্দোলন হয়েছে, এইভাবে কোনও বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ বিনা ইউনিফর্মে, আরাবুলের কিছু টিম, বিনা ইউনিফর্মে ধর্মতলার বুকে লাঠি চালিয়েছে এবং তাদেরকে মারধর করেছে। আমাদের কাছে মেসেজ এসেছে, ১৮ জনকে ও নৌশাদকে এমএলএ-কে রাত দেড়টা-দুটোর সময় মারধর করা হয়েছে।'


শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে, ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ISF। যার আঁচ এসে পড়েছিল কলকাতার ধর্মতলায় (Esplanade)। ISF-এর অবরোধ তুলতে গিয়ে লাঠি চালানোর পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে শহরের প্রাণকেন্দ্র। ওই ঘটনায় বিধায়ক নৌশাদ-সহ এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন ISF বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে লালবাজারে গিয়েছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। যদিও নৌশাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পাননি তিনি।



আরও পড়ুন: দিল্লির বঙ্গ ভবনের নিরাপত্তায় এবার রাজ্য পুলিশ