কলকাতা: তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। 'এখানে দিয়েছে একটা ঘোড়ার পাল। একদল ঘোড়ার পাল, রাজ্য শাসন করতে পাঠিয়েছেন'। নাম না করে ফের রাজ্যপালকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা তোপ দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মন্তব্য প্রজাতন্ত্র দিবসে ঘোড়াগুলো ঠিকমতো লাইনে ছিল না। সেটা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করছেন। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কথা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে রাজ্যপালকে 'ঘোরার পাল' বলে কটাক্ষ করেন। বলেন, 'সকাল নেই, সন্ধে নেই সবসময়ে আমাকে গালাগাল করছে, আবার আমাকেই টুইট করছে'।
এরপরেই সন্ধেতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমার কাছে কোনও ফাইল পড়ে নেই। কোনও ইস্যুর এখনও সমাধান না হলে, জবাব দিতে হবে রাজ্যকে। তাজবেঙ্গল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথার কোনও সত্যতা নেই। তাজবেঙ্গল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে ভাষণ করছেন। ‘রাজ্যপাল হিসেবে সংবিধান রক্ষা করাই আমার কাজ।’
মা ক্যান্টিন প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্য়পালের দাবি, ‘মা ক্যান্টিন ফেব্রুয়ারি থেকে চালু, টাকা কোথা থেকে আসছে? আমি এনিয়ে জানতে চেয়েছি, এখনও জবাব আসেনি। রাজ্যে প্রতিমুহূর্তে সংবিধানের রীতি ভঙ্গ হচ্ছে। আইনের শাসন না থাকলে পদক্ষেপ করবেই রাজ্যপাল। কোনও ট্যুইট প্রকাশ্যে এনেছি কিনা, বলুন মুখ্যমন্ত্রী।’
আর কী কী বললেন রাজ্যপাল
- ‘আমিও রাজ্যে শিল্পায়ন চাই, কিন্তু তার জন্য পরিবেশ চাই’
- ‘শিল্পের পরিবেশ, আইনের শাসন থাকলেই রাজ্যে শিল্প আসবে’
- ‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসনের আইন চলছে’
- ‘রাজ্যে যা চলছে, তা মানবতা, সংবিধানের বিরোধী’
- ‘রাজভবন থেকে পেগাসাস ব্যবহারের অসত্য অভিযোগ তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী’
- ‘এটা আপনার তৃতীয় দফার সরকার, নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন’
- ‘ওনার প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান আছে, কিন্তু আমি স্তম্ভিত’
- ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমি কখনও খারাপ কোনও শব্দ ব্যবহার করিনি’
- ‘আড়াই বছরে সংবিধান রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ’
সবমিলিয়ে আরও উচ্চগ্রামে পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল সংঘাত! কখনও ‘ঘোড়ার পাল’, কখনও ‘সবজান্তা’ কখনও আবার ‘ছোট দালাল’ নানা বিধ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।