আবীর দত্ত, কলকাতা : যাদবপুরের ( Jadatpur University ) পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। প্রতিবাদ দিকে দিকে। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হস্টেল ও ক্যাম্পাসে কেন নেই সিসি ক্যামেরা? মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন, এই অনিয়মে কেন উদাসীন ছিল কর্তৃপক্ষ? বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল (JU Hostel) কি বিনা পয়সার গেস্ট হাউস? এরই মধ্যে বুধবার আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Jadavpur University student death) । ধৃতদের মধ্যে ৩ পড়ুয়া ছাড়াও রয়েছেন ৩ জন প্রাক্তনী। এই নিয়ে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯।
নতুন করে ধরা পড়া ছাত্র ও প্রাক্তনীদের পরিচয় কী ? সূত্রের খবর, রয়েছেন তিন প্রাক্তনী অসিত সর্দার, সপ্তক কামিল্যা ও সুমন নস্কর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির বাসিন্দা অসিত সংস্কৃত বিভাগের চলতি বছরের পাস আউট। আরেক সদ্য প্রাক্তনী সুমন মন্দিরবাজার ও পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের প্রাক্তনী। জানা গিয়েছে, এরা ঘটনার পরই যাদবপুরের হস্টেল থেকে ও কলকাতা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
এছাড়া ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৩ পড়ুয়া। এদের মধ্যে রাজারহাটের নারায়ণপুরের বাসিন্দা অঙ্কন সর্দার ও জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং তৃতীয় বর্ষ এবং আসানসোলের বাসিন্দা আসিফ আজমল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এঁরা কোনও না কোনওভাবে যুক্ত ছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ।
এর আগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী এবং মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত নামে দুই সহ আবাসিককে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যদিও পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অভিযুক্তদের এখনও অনেকে ক্যাম্পাসে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বয়ানের বাঁধা গৎ প্রাক্তনীদের শেখানো বুলি?
এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু ছাত্র ও প্রাক্তনীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তদন্তে নেমে একটি বিষয়ে খটকা লাগে তাদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদে একই বয়ান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। বয়ানের বাঁধা গৎ প্রাক্তনীদের শেখানো বুলি বলেই মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা। এরপরই টানা জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও কয়েকজনের নাম। ঘটনার পরেই কয়েকজন তড়িঘড়ি হস্টেল ছাড়ায় সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে বুধবারই তলব করা হয়েছে লালবাজারে। দুপুর ৩টে নাগাদ ডাকা হয়েছে এই দুই প্রশাসনিক আধিকারিককে।
আরও পড়ুন :