কলকাতা: ছাত্রমৃত্যুর পর টানাপোড়েন পরিস্থিতি থিতিয়ে এলেও, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকা (UGC GuideLines) মেনে চলা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই আবহে এবার মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। পরিকাঠামোগত অপ্রতুলতার জন্যই সবসময় নির্দেশিকা মেনে চলা সম্ভব হয় না। (Jadavpur University)


বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকা রয়েছে। যাদবপুরে পড়ুয়ামৃত্যুর পর নিরাপত্তাজনিত ঘাটতির বিষয়টি উঠে এলে, সেই নির্দেশিকা কেন মানা হয়নি, উঠতে থাকে এই প্রশ্ন। সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু। তাঁর কথায়, "UGC-র নির্দেশিকা শুধুমাত্র যাদবপুরে নয়, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পক্ষেও হয়ত মানা সম্ভব হয়নি। কারণ পরিকাঠামোগত অপ্রতুলতা রয়েছে আমাদের। সব ক্ষেত্রে UGC যা চাইছে, তা মেনে চলা সম্ভব হয় না।" (Kolkata News)


মঙ্গলবার যাদবপুরে সমস্ত ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে বৈঠক ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ নিয়ে  বৈঠকে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, দ্রুত হস্টেল বরাদ্দ, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল স্থানান্তর প্রক্রিয়া চালু করা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। কিন্তু এদিনের বৈঠকে ছিলেন না অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু। 


আরও পড়ুন: Biman Banerjee: রাজভবন নয়, বিধানসভাতেই শপথ, আপনি এসে পাঠ করান, রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি স্পিকারের


সূত্রের খবর, দ্রুত হস্টেল বরাদ্দ, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল স্থানান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত চালু করা, ছাত্র মৃত্যু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা ছাড়াও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় প্রাক্তন সেনা কর্মী নিয়োগেও আপত্তি রয়েছে পড়ুয়াদের একাংশের। এদিন তা নিয়েও আলোচনা হয়।


এদিনের বৈঠকে ছিলেন না উপাচার্য বুদ্ধদেব। দিন কয়েক আগে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন তিনি। চাইলেও সব নিয়ম কার্যকর করতে পারছেন না বলে তুলেছিলেন অভিযোগ। তাঁর দাবি ছিল, তিনি নিজেই ব়্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছেন। কোনও নিয়ম চালু করতে গেলেই বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁকে ইস্তফা দিতেও চাপ আসছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। যাদবপুরে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই, একদল ছাত্র হুজ্জতি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন বুদ্ধদেব। তার পর এদিনের বৈঠকে দেখা গেল না তাঁকে।