কলকাতা: ছোটবেলা থেকেই পুজো মানে মনে হত যেন স্বর্গে বাস করছেন। কেবল পরিবারেই ছিল ২০০ জন লোক। ঠাকুর দালানে ঠাকুর তৈরি হচ্ছে, মা-জেঠিমারা ব্যস্ত পুজোর কাজে.. গোটা বাড়িতে সাজো সাজো রব। এখনও কলকাতার মধ্যে বিখ্যাত সেই মল্লিক বাড়ির পুজো। এবিপি লাইভকে পুজোর একাল সেকালের গল্প শোনালেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। 


জন্মাষ্টমীর দিন থেকে ঠাকুর গড়া শুরু হত মল্লিক বাড়িতে। এখনও চালু রয়েছে সেই রীতিই। রঞ্জিত মল্লিক বলছেন, 'পুজো মানেই যেন মনে হত, আমরা স্বর্গে রয়েছি। নতুন জামা এসব উত্তেজনা তো ছিলই। এছাড়া ছিল বাড়িতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ছোটদের কবিগানের আসর বসত বাড়ির চত্বরে। আমরা ঠাকুমা, জেঠিমা, দাদুদের ঘর থেকে তক্তপোশ নিয়ে আসতাম। সেগুলোকে জড়ো করে তৈরি হল মঞ্চ। তারপরে মা-জেঠিমাদের শাড়ি টাঙিয়ে তৈরি হত মঞ্চ। সেখানেই ছোটদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত।'


৮ বছর পর্যন্ত ভবানীপুরের বাড়িতেই বড় হয়েছেন কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। সেখানেই সময় কাটিয়েছেন। রঞ্জিত মল্লিক বলছেন, ' আমি ছোটবেলার পুজো যেভাবে অনুভব করেছি, কোয়েলও সেই অনুভূতিটা পেয়েছে। একটা বয়সে পৌঁছনোর পরে সবচেয়ে বেশি আনন্দ হত ছোটদের দেখে। পুজোর সময় ছোটরা যেন পাখি। নতুন জামা, পড়াশোনা নেই.. সব মিলিয়ে ওরা ভীষণ খুশি থাকত।'


এবার পুজোয় কী পরিকল্পনা রয়েছে? রঞ্জিত মল্লিক বলছেন, 'প্রত্যেক বছরের মতো এবারেও ভবানীপুরের পুরনো বাড়িতে যাব। সবার সঙ্গে একসঙ্গে পুজো কাটাব। পুজোর নিয়মকানুনগুলোর মধ্যে যুক্ত থাকতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। কোয়েলও ঠিক তেমনই। ও ভীষণভাবে যুক্ত থাকে পুজোর সঙ্গে। এখন ছোট্ট কবীরেরও পুজো নিয়ে দারুণ উন্মাদনা কাজ করে। তবে এই বয়সে পৌঁছে, পুজো এলে আমি একটু পুরনো সময়গুলো মিস করি। একসময় কত বড়রা ছিলেন পুজোর হাল ধরার জন্য। আমরা কেবল আনন্দই করেছি। এখন আর সেই সময় সেই, মানুষগুলোও নেই। পুজো এলে তাই পুরনো কথা মনে পড়ে মনখারাপ হয়ে যায়।'


পুজোর কয়েকটা দিন ধুতি-পাঞ্জাবিতে মল্লিকবাড়িতে সপরিবারে হাজির থাকেন রঞ্জিত মল্লিক। পুজোর সময় মল্লিকবাড়ি গিয়ে তাঁর দেখা পাওয়া অনুরাগীদের অন্যতম আকর্ষণ থাকে। এই বছরেও তার অন্যথা হবে না। যোগমায়াকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠছে মল্লিকবাড়ি। 


আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: অষ্টমীতে ধুতি-পাঞ্জাবিতে অঞ্জলি, পুজোয় পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা যীশুর