কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ১ মার্চ থেকে চলছে অচলাবস্থা। ৯ দিন পর যাদবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে নতুন করে উত্তপ্ত হল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের অধ্যাপক, তৃণমূল প্রভাবিত অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্য ওমপ্রকাশ মিশ্র সোমবার সকালে নিজের অফিসে আসেন। । বিভাগে ঢোকার মুখেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন এসএফআই ছাত্র ছাত্রীরা, বিক্ষোভ শুরু করে এআইডিএসও।
নিজেই দরজার তালা খুলে, পোস্টার ছিঁড়ে ঢুকে পড়েন দফতরে। প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু হাত জোড় করে ভিতরে ঢুকে যান অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। ঢোকার সময় তিনি বলেন, 'আই রিকোয়েস্ট অল মাই স্টুডেন্টস টু কাইন্ডলি গো টু মাই অফিস কাইন্ডলি লেট মি গো টু মাই অফিস আই রিকোয়েস্ট মাই স্টুডেন্টস। আই অ্য়াম এ টিচার অফ লং স্ট্যান্ডিং। কাইন্ডলি লেট মি গো ডু মাই অফিস। ' তখনই প্রতিবাদের পারদ চড়তে থাকে। ঠিক সেই সময়ই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাদা পোশাকে প্রচুর পুলিশ ঢুকে পড়ে। শিক্ষাঙ্গনে কেন পুলিশ? ঘটনার দিন কোথায় ছিল? প্রশ্ন তুলে সরব হয় এসএফআই। অন্যদিকে আবার টিএমসিপি-র বক্তব্য, নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ঢুকতেই পারে। ' আমাদের সংগঠনগতভাবে কোনও আপত্তি নেই। প্রশাসন যদি মনে করে কাউকে সিকিউরিটি দেওয়ার জন্য আমরা পুলিশ থাকাতেও কোনও অসুবিধা নেই। ' জানালেন এক টিএমসিপি প্রতিনিধি। এই বিষয়ে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, তিনি পুলিশকে ডাকেননি। তিনি আরও বলেন, 'এরা আমাদেরই ছাত্রছাত্রী। এদের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। যারা অভিযোগ করেছে তারা এগুলো নিয়ে হাইকোর্টে গেছে। তারা হাইকোর্টে গেছে। হাইকোর্ট মামলাটাকে নিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। '
ফের হাইকোর্টে মামলা
অন্যদিকে যাদবপুরকাণ্ডে ফের নতুন মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে যাদবপুরের পড়ুয়াদের বারবার ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থা করছে পুলিশ। এর আগে ৭ মার্চ তাঁদের ডাকা হয়। পড়ুয়ারা হাজিরা দেন। অভিযোগ, সেদিন তাঁদের কাছ থেকে তাঁদের মোবাইল ফোন চাওয়া হয়। তাঁরা আপত্তি জানান। তারপর থেকেই পড়ুয়াদের হেনস্থার চেষ্টা হচ্ছে। সোমবার ফের তাদের তলব করেছে পুলিশ। উদ্দীপন কুণ্ডু নামে SFI সদস্য এক পড়ুয়া হাইকোর্টে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার ফের মেনশন করার নির্দেশ দিয়েছেন।