নদিয়া: যাদবপুরের পড়ুয়াকে (Jadavpur University student death) হারিয়ে কার্যতই শোকে ডুবে গোটা নদিয়া-তথা পশ্চিমবঙ্গ। যাদবপুরের ওই ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই সক্রিয় তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। আর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই মৃত পড়ুয়ার নামে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণ করা হয়েছে বলে খবর। বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম বদলে রাখা হয়েছে যাদবপুরে মৃত পড়ুয়ার নামে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।


প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU Student Death) পড়ুয়ার মৃত্যুতে ইতিমধ্য়েই নদিয়ায় মৃত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে বিরোধীরাও। যদিও এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। একদিকে যারা এই ঘটনার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন এবং তাঁদের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ রয়েছে, যাদবপুরের অভ্যন্তরে ঘটনার দিন প্রকৃতই কী চলছিল, এসব জানতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ। তবে নিরাপত্তার আঙ্গিকে সিসিটিভি বসানোর কথা উঠতেই ফের বিতর্ক মোড় নেয়। পড়ুয়াদের একাংশ এর বিরুদ্ধে রয়েছেন। এদিকে যাদবপুরের (Jadavpur University) ওই পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়ার মাঝেই এসেছে ধৃতদের ঘিরে নয়া অভিযোগ। 


সম্প্রতি যাদবপুরে রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় এনিয়ে অভিযোগ জানান ২ আধিকারিক। মূলত যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় (JU Student Death) সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর সেই সৌরভের কোনও ক্ষতি হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, সৌরভ চৌধুরী পাশ করে গেলেও তিনি হস্টেলেই থাকতেন। স্বপ্নদীপের বাবার মুখে বারবার উঠে এসেছে এই সৌরভের নাম। তিনি সরাসরি সৌরভের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন। তদন্তে নেমে এরপরেই  সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। তারপর থেকে দফায় দফায় চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।


আরও পড়ুন, কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভোট, ত্রিপুরায় সম্মুখ সমরে বিজেপি-সিপিএম


পুলিশ সূত্রে খবর,'মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি, জোর করে তাকে দিয়ে সই করানো হয় চিঠিতে'। মানসিক নির্যাতন করার সময় প্রাক্তনী সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরের সঙ্গে ছিল আরও অনেকে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অজ্ঞাত পরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশ (Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের। হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনের পাশাপাশি ঘটনার সময় উপস্থিত আরও কয়েকজনের ফোন পুলিশের স্ক্যানারে।