কলকাতা: আজ যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার (Jadavpur University Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল (TMC Delegation)। তিন মন্ত্রী ও এক সাংসদ রয়েছেন এই প্রতিনিধি দলে। নদিয়ায় যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্য়াণমন্ত্রী শশী পাঁজা ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রতিনিধিদলে আছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষও। তবে এদিন নদিয়ায় যাওয়ার আগেই নিজের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নাম না করেই বিরোধীদের নিশানা করেন এদিন তিনি।
'দল যে সর্বতভাবে যাদবপুরের ওই মৃত পড়ুয়ার পরিবারের পাশে আছে', সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই এদিন নদিয়া যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবে এদিন কথা প্রসঙ্গে বলেন, 'কোথাও হয়তো তাঁর, আমাদের দলনেত্রীর প্রতি ভালবাসা আছে, তাঁকে দেখলেই রেরে করে ঝাপিয়ে পড়া, যাদবপুরের একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে।'
শিক্ষামন্ত্রীর সংযোজন, 'যাদবপুরে একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে স্ট্যালিন-মাওয়ের নাম করে যেন কাউকে খুন করে দেওয়া যায়, ছাত্রকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া যায়, নৈরাজ্যকর অবস্থা। এদিকে তাকানোর সময় এতদিনে এসে গিয়েছে', মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই আলোচনার আমন্ত্রণ জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে গ্রেফতার আরও ৬ জন। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন বর্তমান ও ৩ জন প্রাক্তন পড়ুয়া। ঘটনার পরই হস্টেল ছেড়েছিলেন ধৃতরা। বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।সূত্র মারফত খবর,'ঘটনার পর থেকে পুলিশি জেরায় একই বয়ান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা', পড়ুয়াদের একই ধরনের বয়ান দিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন ধৃতরা। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে ৯।
যাদবপুরকাণ্ডে, হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন, যাদবপুরকাণ্ডে লালবাজারে তলব ডিন অফ স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে
প্রসঙ্গত, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'