কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যাদবপুর-সঙ্কটের মধ্যেই পদত্যাগ বিজ্ঞান শাখার ডিনের। সহ উপাচার্যকে পদত্যাগপত্র পাঠালেন সুবিনয় চক্রবর্তী। নতুন উপাচার্য পদে বুদ্ধদেব সাউ-কে নিয়োগে অসন্তোষ? জল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। মন্তব্যে নারাজ পদত্যাগী ডিন সুবিনয় চক্রবর্তী।
এদিকে, দায়িত্ব পাওয়ার পরেই, রবিবার ছুটি থাকা সত্ত্বেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির মানলেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক। ধোঁয়াশা বজায় রইল CCTV বসানো নিয়ে।
নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানিয়েছেন, CCTV নাকি হিউম্যান মনিটরিং, কীভাবে নজরদারি চালানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে যাদবপুরের নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানিয়েছেন, অ্যান্টি র্যাগিং সেলকে আরও সক্রিয় হতে হবে। ক্যাম্পাস ও হস্টেলে সার্বিক নিরাপত্তা ফেরানো জরুরি। রাজভবনের নির্দেশ পেয়ে রবিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। ক্যাম্পাসে ছুটে গেলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের, মানলেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য। 'অ্যান্টি র্যাগিং সেলকে আরও সক্রিয় হতে হবে। সিসিটিভি-র প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে', মন্তব্য নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের।
আরও পড়ুন, 'যে জায়গায় পড়ুয়া উপর থেকে পড়েছিলেন, সেই জায়গা ধুয়ে পরিষ্কারের নির্দেশ',তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এমনকী, এদিন এ রাজ্যে এসে যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য সরকারকেও নিশানা ধর্মেন্দ্র প্রধানের। কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'ইউজিসি-র নিয়ম মানতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসি ক্যামেরা কেন বসানো হয়নি। রাজ্য সরকারও দায় এড়াতে পারে না'।
এমন চলতে থাকলে বাংলায় আর কেউ পড়তে আসবে না। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। আক্রমণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর।