পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রের মৃত্যু বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। চাঞ্চল্যকরভাবে সবকিছুর নেপথ্যে সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও উঠে এসেছে। যার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১৩ জন বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ার নাম। কিন্তু এবার তদন্তে সামনে এল আরও এক অপরাধমনস্কতার তথ্য। যা শিউরে ওঠার মতোই।                                           



সূত্রের খবর, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুতে অভিযুক্তদের অপরাধমনস্কতা আরও স্পষ্ট। তদন্তে জানা গিয়েছে, পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়। শুধু তাই নয়, যে জায়গায় পড়ুয়া উপর থেকে পড়েছিলেন, সেই জায়গা ধুয়ে পরিষ্কারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। জিবি মিটিং ডেকে নির্দেশ দেয় ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। এমনকী সূত্র মারফৎ খবর, সৌরভই শিখিয়ে দেয় পুলিশকে কী বয়ান দিতে হবে। 


প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পরও ঠান্ডা মাথায় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে চলেছেন ধৃত ছাত্ররা। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন! যাদবপুরকাণ্ডে এবার এমনটাই দাবি করল পুলিশ। তদন্তে পুলিশের স্ক্যানারে ডিন অফ সটুডেন্টস ও হস্টেল সুপারের ভূমিকাও।  


শনিবার লালবাজারে ধৃতদের জেরা করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে। লালবাজার সূত্রে দাবি, ধৃতদের জেরায় জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১১.৪৫-এ ওপর থেকে পড়ে যান ছাত্র। এর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্য়ে হস্টেলের মাঠে জিবি মিটিং ডাকেন প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী।


আরও পড়ুন, আবাসিক নন তাও কেন হস্টেলে ছিলেন ধৃত জয়দীপ ঘোষ? জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য


পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের জেরায় জানা গেছে, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সময় সেখানে যাঁরা ছিলেন, প্রত্যেকেকে জিবি মিটিংয়ে থাকতে বলা হয়। পাশাপাশি এও বলে দেওয়া হয়, সৌরভকে কেউ কোনও প্রশ্ন করতে পারবে না। সৌরভ যা বলবে, সেটাই শুনতে হবে। তদন্তের সময় পুলিশের সামনে সেটাই হবে সবার বক্তব্য। 


মৃত্যুর আগে ওই ছাত্র কি কাউকে র‍্যাগিংয়ের কথা জানিয়েছিলেন? সেই মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কি ডিলিট করে দেয় অভিযুক্তরা? তা জানতে পুলিশের স্ক্যানারে মৃত পড়ুয়া ও ধৃতদের মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনগুলির ফরেন্সিক পরীক্ষা করছে পুলিশ তদন্তে পুলিশের স্ক্যানারে ডিন অফ সটুডেন্টস ও হস্টেল সুপারের ভূমিকাও।