ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী , পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : যাদবপুর হস্টেলে (JU Hostel) কী ঘটেছিল সেই রাতে? পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ! পুলিশের দাবি, সেদিন রাতে নৃশংস ব়্যাগিং (JU Student death) হয় মৃত পড়ুয়ার সঙ্গে। তাঁকে দিয়ে জোর করে চিঠি লেখানো থেকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো, কী না ঘটে গিয়েছে ! সেই সঙ্গে পুলিশের সন্দেহ, মাত্র ৯ জন নয়, এই ঘটনায় যুক্ত আরও অনেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০.০৫। ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে গিয়ে পৌঁছায় একটি ফোন। যেখানে নাকি বলা হয়, একজন ছাত্র অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, একটা চিত্রনাট্য তৈরি করে ওই ছেলেটির উপর হাড়হিম করা অত্যাচার করা হয়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ব়্যাগিংয়ে (Jadavpur University student death) যুক্ত একদলের ফোন গিয়েছিল ডিন অফ স্টুডেন্টস-এর কাছে।  আরেকদল ব্যস্ত ছিল র‍্যাগিংয়ে। (Ragging) 

পুলিশ সূত্র বলছে, রাত ১০.০৫ টায় ডিন অফ স্টুডেন্টসের কাছে একজনের ফোন যায়। সেই ফোনে ট্রু-কলারে নাম নোট করে তিনি ফোন করেন হস্টেল সুপারকে। জিগ্যেস করেন, এই নামে হস্টেলে কেউ আছে কি না। সেই অনুসারে, তাঁকে বিষয়টি দেখতে বলেন।  এগিয়ে চলছিল ঘড়ির কাঁটা। অন্যদিকে চলছিল অমানুষিক নির্যাতন। রাত ১১.৩০ টা নাগাদ পরিচয়পর্বের নাম করে একটা ঘরের মধ্যে চলতে থাকে মানসিক নির্যাতন। জানা যায়, তাকে বিবস্ত্র করে ইন্ট্রো নেওয়ার নাম করে করা হচ্ছিল অত্যাচার। রাত ১১.৪৫-য় ওই ছাত্রকে হস্টেলের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে ৯ অগাস্টের রাতের অত্যাচারের হাড়হিম করা এই তথ্য উঠে এসেছে। ১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে চলেছিল নির্যাতন। এরপর ৩ তলা থেকে পড়ে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটে। সূত্রের খবর, প্রথমে ৪ তলার ঘরে শুরু হয় নির্যাতন। এরপরে ৪ তলা থেকে ৩ তলার একের পর এক ঘরে এনে পরিচয়পর্ব শুরু হয়। ৯ তারিখের আগের দিনও হয়েছিল র‍্যাগিং, পরের দিনও হয় অত্যাচার।  জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম করে চিঠি লেখানোয় মুখ্য ভূমিকা ছিল সৌরভ-সপ্তকের।                         


আরও পড়ুন :


 রাতে কী ঘটেছিল মেন হস্টেলে? গেটে কে তালা লাগিয়েছিলেন? পুঙ্খানুপুঙ্খ জানালেন নিরাপত্তা রক্ষী