কলকাতা: যাদবপুরের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে যাঁরা উত্যক্ত করেছিলেন, সৌরভ চৌধুরী তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সৌরভ একা নন, ওই দলে আরও কয়েক জন প্রাক্তনী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই আবহেই ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কুণাল চট্টোপাধ্যায়ের। র‍্যাগিং, যৌন হয়রানি, জাত তুলে অপমান, এসব নিছক ইউনিয়ন দখলের রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে বলে লিখলেন তিনি। (JU Student Death)


নদিয়া থেকে সাহিত্য নিয়ে পড়তে এসেছিলেন যাদবপুরে। ক্লাস করতে পেরেছিলেন মোটে দু'দিন। তার পরই যাদবপুরে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্বপ্নদীপ। তাঁর মৃত্যুতে ব়্য়াগিংয়ের অভিযোগ উঠে আসছে। সেই আবহেই ফেসবুকে গোটা ঘটনা নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন অধ্যাপক কুণাল। তিনি জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের এক ছাত্র ব়্য়াগিংয়ের শিকার হয়ে মারা গিয়েছে। (Jadavpur University)


অধ্যাপক কুণাল লেখেন, 'আমার মনে পড়ে, ব়্য়াগিং সত্যিই ব়্য়াগিং কিনা, সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দিয়ে ঠিক করতে হবে, এমন প্যামফ্লেট প্রকাশ করে ওই সব কাজের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে চাওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর ঘটনার পর এখন গা বাঁচানোর চেষ্টা করবে অনেকেই। যখন ব়্য়াগিং, যৌন হয়রানি, জাত তুলে অপমান, এসব নিছক ইউনিয়ন দখলের রাজনীতিতে পরিণত হয়, 'আমার পক্ষ' অভিযুক্ত হলে, তাকে বাঁচানো প্রধান কাজ হয়, এসব নিয়ে গালভরা নৈতিক কথা বলে লাভ নেই'।


আরও পড়ুন: Jadavpur University: র‍্যাগিংয়ের নামে বিকৃতমনস্কদের কৃতকর্ম ! কেন এই ভয়ঙ্কর প্রবণতা বাড়ছে? কী বললেন মনোবিদরা?


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। সৌরভকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তিনি একা নন, দলে আরও কয়েক জন ছিলেন বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, হস্টেলে রীতিমতো প্রভাবশালী ছিলেন ২০২২-এর অঙ্কে MSC পাস আউট সৌরভ। ঘটনার দিন কারা সৌরভের সঙ্গে ছিলেন, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর নেপথ্যে তাঁদের কী ভূমিকা, সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


স্বপ্নদীপের সহপাঠীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ঘটনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। হস্টেলে কি আদৌ সিসিটিভি ক্য়ামেরা ছিল? না থাকলে কেন ছিল না? পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।