পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : এরা সফল অপরাধী কিন্তু ব্যর্থ অভিনেতা বলে আগেই তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলে আদালতে সওয়াল সরকারি আইনজীবীর। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুকাণ্ডে সময় যতই এগিয়ে ততই পুলিশের তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সেই তথ্যই আদালতে উল্লেখ করে সরকারি আইনজীবীর (public prosecutor) দাবি, 'ছাত্রমৃত্যুর পর সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।'
একাধিক তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি বিশেষ সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদারের আদালতের কাছে আবেদন,'এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ কে খুলেছিল, খুঁজে বের করতে হবে'। পাশাপাশি সৌরভ চৌধুরীই যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনায় কিং পিন, আদালতে দাবি সরকারি আইনজীবীর। আদালতে পেশের পর সৌরভ চৌধুরীর পাশাপাশি, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত ফের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। আগামী ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত সৌরভ চৌধুরীর পুলিশ হেফাজত। আর ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তর পুলিশ হেফাজত দিয়েছে আদালত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত সৌরভ চৌধুরীর আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, ১১ দিন ধরে তাঁর মক্কেলকে পুলিশ হেফাজতে (Police Custody) রাখা হয়েছে। অথচ কেস ডায়েরিতে তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে (Jail Custody) পাঠানো হোক। ধৃত মনোতোষের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, তাঁর মক্কেল ওই ছাত্রকে হস্টেলে রেখেছিল, FIR-এ সেটাই উল্লেখ আছে। তাঁর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের কোনও অভিযোগ নেই। তাঁর মক্কেলও র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন, দীপশেখরের আইনজীবী। পাশাপাশি ছাত্র মৃত্যুর সঙ্গে দীপশেখরের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এদের পাল্টা, বিশেষ সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, এরা নিজেরা র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে, র্যাগিং করে মারার অধিকার তাঁদের নেই।
আরও পড়ুন- ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন, জানতে ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদারকে যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন