কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনায় কার্যতই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই আজ ডিন অফ ইসটুডেন্টস ও এক হস্টেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিকজনকে। কী হয়েছিল সেই রাতে? এবার সেই ঘটনায় যাদবপুর হস্টেলের রাঁধুনিকে তলব করা হয়েছে (Police Summons JU Hostel Cook)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হস্টেলের রাঁধুনিকে থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মারফত খবর, ছাত্রের মৃত্যুতে ধৃতদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের ধারা আনতে চলেছে পুলিশ। 'বিবস্ত্র করে হস্টেলের বারান্দায় ঘোরানো হয়েছিল মৃত ছাত্রকে'। হস্টেলের আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রমাণ পুলিশের হাতে। এদিকে, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতির কথা ফের কবুল করলেন নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। দ্রুত এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সভা ডাকা হবে তিনি জানিয়েছেন। নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্যর দাবি, গোটা বিষয়টার প্রাথমিক তদন্ত চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি কী কারণে তৈরি হয়েছে, তা দেখার সুযোগ মেলেনি।
সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের। প্রসঙ্গত, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'
আরও পড়ুন, আগামী ৫ দিন প্রবল বর্ষণ, বাড়তে পারে নদীর জল স্তর, এই জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি হাওয়া অফিসের
সম্প্রতি যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার (Jadavpur University Student Death) নদিয়ার বাড়িতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল (TMC Delegation)। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। শিক্ষামন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, 'যাদবপুরে একাংশের প্রবণতা হয়ে গিয়েছে স্ট্যালিন-মাওয়ের নাম করে যেন কাউকে খুন করে দেওয়া যায়, ছাত্রকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়া যায়, নৈরাজ্যকর অবস্থা। এদিকে তাকানোর সময় এতদিনে এসে গিয়েছে', মন্তব্য করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি, এদিন নেতাজি ইন্ডোরে ইমামদের সম্মেলনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'যাদবপুর নিয়ে আগে গর্ব করতাম, অথচ একটা ছেলেকে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল।এরা জীবনে বদলাবে না', বলে এদিন যাদবপুরের বাম ছাত্র সংগঠনকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী।