কলকাতা: আজ যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার (Jadavpur University Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল (TMC Delegation)। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তিন মন্ত্রী ও এক সাংসদ। নদিয়ায় যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নারী ও শিশুকল্য়াণমন্ত্রী শশী পাঁজা ও সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। প্রতিনিধিদলে আছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষও।


যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় (Jadavpur University Student Death) আতসকাচের তলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও। এবার লালবাজারে তলব করা হল ডিন অফ অফ স্টুডেন্টস রজত রায় ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে।জানা গিয়েছে, আজ দুপুর ৩টের সময় তাঁদেরকে তলব করা হয়েছে।


ইউজিসি-র নির্দেশিকায় থাকলেও হস্টেল ও ক্যাম্পাসে কেন নেই সিসি ক্যামেরা? মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন, এই অনিয়মে কেন উদাসীন ছিল কর্তৃপক্ষ? বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল কি বিনা পয়সার গেস্ট হাউস? বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কেন নেই কড়াকড়ি?  বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।


যাদবপুরকাণ্ডে বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে গ্রেফতার আরও ৬ জন। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন বর্তমান ও ৩ জন প্রাক্তন পড়ুয়া। ঘটনার পরই হস্টেল ছেড়েছিলেন ধৃতরা।  বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।সূত্র মারফত খবর,'ঘটনার পর থেকে পুলিশি জেরায় একই বয়ান দিচ্ছিলেন পড়ুয়ারা', পড়ুয়াদের একই ধরনের বয়ান দিতে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন ধৃতরা। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে ৯।


যাদবপুরকাণ্ডে, হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের।  


আরও পড়ুন, 'অমিত শাহর ছেলে কী করছে ?..', 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ ফিরহাদ,অধীর ও বিমানের


প্রসঙ্গত, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'