কলকাতা: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষ ছাড়াও দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধাদানের অভিযোগ। মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তর বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। খুন ও সংগঠিত অপরাধের পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে বাধাদানের ধারাও প্রয়োগ করতে চলেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ঘটনার দিন হস্টেলের গেটে পুলিশকে আটকে দেন প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে মনোতোষ ও দীপশেখরও ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। হস্টেলের নিরাপত্তা রক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দুই পড়ুয়ার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। আজ আলিপুর আদালতে তোলা হবে মনোতোষ ও দীপশেখরকে। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে বাধা দেওয়ার ধারা যুক্ত করার আবেদন জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে জয়দীপের সম্পর্কে একাধিক তথ্য। যাদবপুরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের (IR) প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন।২০২১-র পাস আউট জয়দীপ ২০১৯-২০২০ সালে আর্টসের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েশেষ অবধি হেরে যান। এবার কথা হচ্ছে, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা জয়দীপ, ঘটনার দিন কী করছিলেন যাদবপুরের হোস্টেলে ? কার থেকে তিনি খবর পেলেন, এই সব কিছু নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন মেন হস্টেলের গেট বন্ধ করা এবং পুলিশকে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন জয়দীপ ঘোষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া কি র্যাগিংয়েরই বলি হয়েছিলেন ? অভিযোগ উঠেছিল শুরু থেকেই। এবার সেই তত্ত্বই আরও জোরাল হয়েছে। কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই খবর, ৯ অগাস্ট রাতে, মেন হস্টেলে যে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সেই চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে।সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, মেন হস্টেলে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে প্রায়শই।
আরও পড়ুন, মেট্রো স্টেশনের সামনে গ্রুপ D চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে
৯ অগাস্ট রাতেও ঘটেছিল। মানসিকভাবে চাপে ছিলেন ওই ছাত্র। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ইউজিসি-র (UGC) গাইডলাইন মেনে র্যাগিং প্রতিরোধে পদক্ষেপ নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সূত্রের দাবি, অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও মেনে নেওয়া হয়েছে যে, র্যাগিং প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে খামতি রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন এই বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা পড়েছে উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি প্রায় ১৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে।