কলকাতা: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুতে (Jadavpur University) পদক্ষেপ করতে রাজ্যপালকে চিঠি রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের। রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্য করার বিল পাস হলেও, এখনও তাতে স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। যে কারণে এখনও পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তিনিই (JU Student Death)। তাই তাঁকেই চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)
শিশু কমিশনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাজ্যপালকে রিপোর্ট পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। চিঠি পাঠানো হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। বেআইনি ভাবে কত জন হস্টেলে রয়েছেন, জানতে চাওয়া হয়েছে লালবাজারের কাছে। জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হস্টেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও।
বয়স ১৮ হতে আরও কয়েক মাস বাকি ছিল ওই পড়ুয়ার। রবিবার নদিয়ার রানাঘাটে মৃত ওই পড়ুয়ার মামার বাড়িতে যান রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। অনন্যা চট্টোপাধ্যায়-সহ কমিশনের সদস্যরা সেখানে কথা বলেন মৃত কিশোরের মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে পরিবারের এই কথোপকথন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তার পরই রাজ্যপালের কাছে চিঠি গেল। চিঠি গেল কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছেও।
যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে এখনও পর্যন্ত উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলে গেস্ট হিসেবে মনোতোষ ঘোষের ঘরে থাকলেও, অন্য একটি ঘরে চলেছিল ওই পড়ুয়ার সঙ্গে পরিচয়-পর্ব। হস্টেলে ঢোকার দিন সেই আলাপ-পর্ব শুরু হয় রাত ১০টা বেজে ১০ মিনিট থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মনোতোষ, দীপশেখর ঘোষের মতো পড়ুয়ারা এবং প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী-সহ আরও কয়েক জন।
শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মনোতোষ এবং দীপশেখরকে। তাঁদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্বপ্নদীপের পরিচয়-পর্বের কোনও ভিডিও তোলা হয়েছিল কিনা। ভিডিও বা ছবি থাকলে তা মুছে দেওয়া হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও, ওই দুই পড়ুয়ার ফোন থেকে কোনও টেক্সট মেসেজ করা হয়েছিল কি না, কাদের ফোন করা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।