কলকাতা: যাদবপুরের (Jadavpur University) মূল ক্যাম্পাস বা হস্টেলের সামনে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। কেবলমাত্র কয়েকটি ডিপার্টমেন্টে যেখানে দামি কিছু যন্ত্র আছে, সেখানে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হস্টেলের মতো জায়গায় সিসি ক্যামেরা থাকবে। প্রায় এক দশক পরও যাদবপুর ক্য়াম্পাসে সিসিটিভি ক্য়ামেরা নেই কেন? কীভাবে দায় এড়াতে পারে কর্তৃপক্ষ?


কী বললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য? 


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “যে কোনও প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক। সেখানে বাইরের লোক আসতে পারে। এমনকী রাতেও পাঁচিল টপকে লোক ঢুকত। তারা অন্যায় করলে সেই দোষ গিয়ে পড়বে যাদবপুরের পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের উপর। তাই শনাক্ত করা জরুরি কারা অন্যায় করেছে। সেটা কারোর উপর নজরাদারির জন্য না। আমি নিজে সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামরা লাগানো হয়েছিল। হস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ পথে ছিল সিসিটিভি। কর্তৃপক্ষের উচিত যত দ্রুত সম্ভব সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো।


ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার যাদবপুরেরই দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত দীপশেখর দত্ত অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং অপর ধৃত মনোতোষ ঘোষ সোশিওলজি দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, মনোতোষেরই গেস্ট পরিচয়ে হস্টেলে থাকত মৃত ওই পড়ুয়া। মনোতোষ ও দীপশেখর তাকে মানসিক নির্যাতন করে বলে পুুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করে এই ২ জনের নাম জানা যায়। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের আজ ভোরে দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেল থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল মানসিক চাপ তৈরি করা হয়েছিল স্বপ্নদীপের ওপর। কী সেই চাপ, কোন ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, আর কারা জড়িত ছিল, ৩ জনকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। 


এদিকে মৃত্যুর তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলে গেস্ট হিসেবে মনোতোষ ঘোষের ঘরে থাকলেও, অন্য একটি ঘরে চলেছিল মৃত ছাত্রের পরিচয়-পর্ব। হস্টেলে ঢোকার দিন সেই আলাপ-পর্ব শুরু হয় রাত ১০টা ১০ থেকে। উপস্থিত ছিল মনোতোষ, দীপশেখরের মতো পড়ুয়ারা ও প্রাক্তনী সৌরভ-সহ আরও কয়েকজন। ধৃত মনোতোষ ও দীপশেখরের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিচয়-পর্বের কোনও ভিডিও তোলা হয়েছিল কি না। ভিডিও বা ছবি থাকলে তা মুছে দেওয়া হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, ওই দুই পড়ুয়ার ফোন থেকে কোনও টেক্সট মেসেজ করা হয়েছিল কি না, কাদের ফোন করা হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  


আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: মেঘলা আকাশ, দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি উত্তর ২৪ পরগনায়