সনৎ ঝা, মলয় চক্রবর্তী, জলপাইগুড়ি : একের পর এক গা-শিউরে ওঠা ঘটনা। মধ্যযুগীয় বর্বরতার খবর। নৃশংসতায় একটা ঘটনাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে আরেকটা। সীমাহীন নির্লজ্জতার নতুন নতুন নজির তৈরি হচ্ছে জেলায় জেলায়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সালিশি সভা ডেকে এক মহিলা ও পুরুষের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এলে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হল নির্মম ভাবে। আর তা নিস্ক্রিয় ভাবে দেখল হাজির থাকা মানুষ। এরপর একদিনও কাটল না। এবার চোপড়ার অনুরূপ ঘটনার খবর এল জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি থেকে।


বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে সালিশি সভায় গৃহবধূকে মারধরের করার অভিযোগ উঠে এল জলপাইগুড়ির গ্রাম থেকে।  এই অপমানেই নাকি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নিগৃহীতা, এখন দাবি পরিবারের। মৃতের স্বামীর অভিযোগ, সোমবার গোটাটাই ঘটেছে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার সামনে। বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হন ওই গৃহবধূ। তাঁর বিরুদ্ধেও গ্রামবাসীর অভিযোগ, মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। 


চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের মতোই সালিশিতে মারধরকে সমর্থন জানিয়েছেন ফুলবাড়ির তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি ফুলবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী স্বপ্না অধিকারী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। 


পরিবার সূত্রে খবর, ৮ দিন আগে ওই যুবকের সঙ্গে চলে যান তিনি। থানায় নিখোঁজ ডাযেরি করেন স্বামী। ৮ দিন পরে ফিরে আসেন মহিলা। বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। স্বামীর দাবি, ঘটনার কথা তিনি জানান পঞ্চায়েতের মালতী রায়কে। ঠিক হয়, পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে হবে সালিশি সভা। সোমবার তৃণমূলনেত্রী স্বপ্না অধিকারী সহ কয়েকজন মহিলা ওই দম্পতিকে গ্রামের একটি জায়গায় আসতে বলেন। অভিযোগ, সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার উপস্থিতিতে সবাইকে মারধর করা হয়। স্বামীর দাবি, এই ঘটনার জেরে অপনামে বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হন স্ত্রী। সালিশিতে মারধরকে সমর্থন জানিয়েছেন ফুলবাড়ির তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Vistadome Coach: পর্যটকদের জন্য সুখবর, হাওড়া-এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসে জুড়ল ভিস্টাডোম কোচ