নয়াদিল্লি : বায়রন বিশ্বাসের ( Bayron Biswas ) দলবদল নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা জয়রাম রমেশের ( Jairam Ramesh )। জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের ট্যুইট,
'কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে ঐতিহাসিক জয়ের ৩ মাস পর, বায়রন বিশ্বাসকে লোভ দেখিয়ে ভাঙিয়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা সাগরদিঘি বিধানসভার ভোটারদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। এর আগে গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য রাজ্যেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই কাজ বিরোধী জোটকে শক্তিশালী তো করেই না, উল্টে বিজেপির স্বার্থসিদ্ধি হয়।' বায়রনের দলবদল নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ জয়রাম রমেশের। 






প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১২ই জুন নীতীশ কুমারের আমন্ত্রণে পাটনায়, প্রথম সম্মিলিত বৈঠকে মিলিত হচ্ছে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত থাকবে কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল সহ ২১টি রাজনৈতিক দল। আর তার আগে, রাজ্য়ের একমাত্র বাম সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বায়রনকে দলে টানল তৃণমূল। ৩ মাস আগে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে সাগরদিঘিতে হেরেছিল তৃণমূল। প্রচারে গেছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তারপরও টানা ১০ বছর দখলে-রাখা সাগরদিঘিতে হারে তৃণমূল! কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে নিজেদের দিকে টেনে কি সেই হারের ব্য়র্থতাই মোছার চেষ্টা করল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব? ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে, পটনায় ১২ জুন বিরোধীদের প্রথম সম্মিলিত বৈঠক হতে চলেছে।


সূত্রের খবর, ১২ জুনের বৈঠকে কংগ্রেস, সিপিএমের পাশাপাশি হাজির থাকার কথা তৃণমূল, আরজেডি, জেডিইউ, ডিএমকে, এনসিপি-সহ ২১টি রাজনৈতিক দলের। অতীতেও দেখা গেছে একাধিক রাজ্য়ে দেখা গেছে, কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে ভোট কেটছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত গোয়ার, বিধানসভা ভোটের আগে, কংগ্রেসে ভাঙন ধরায় তৃণমূল। কিন্তু, তারপর গতবছর সেই লুইজিনহোর রাজ্য়, গোয়ার বিধানসভা ভোটে তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়ে। সেরাজ্য়ে একটিও আসনে জিততে পারেনি তারা। মাত্র ৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল। এরপর NDA শাসিত মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ককে দলে টেনে ভোটের সমীকরণ বদলে দেয় তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে আসা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে সামনে রেখে লড়াইয়ে নামে তারা। এর আগে, ত্রিপুরায়, তৃণমূলে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মন-সহ ৬ কংগ্রেস বিধায়ক। কিন্তু, ত্রিপুরাতেও সাফল্য়ের মুখ দেখতে পারেনি এ রাজ্য়ের শাসক দল। এবার বিরোধী বৈঠকের ঠিক আগেই রাজ্য় বিধানসভায় বাম সমর্থিত কংগ্রেসের একমাত্র প্রতিনিধিকেও দলে টেনে নিল তৃণমূল। প্রশ্ন হচ্ছে, এতে কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিরোধী ঐক্য়? জোরাল হচ্ছে সেই প্রশ্নটা।