রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। মহিলার স্বামী ও বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত যুবককে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে রক্তারক্তি কাণ্ড! এক যুবককে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল, বধূর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে শ্রীঘরে বধূর স্বামী ও বাবা।
যুবকের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচিবহারের মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা শ্যামল হালদারের সঙ্গে শিলিগুড়ির বধূ বিশাখা বর্মনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। কয়েক দিন আগে ওই বধূ ধূপগুড়ির ভেমটিয়ায় বাপের বাড়িতে আসেন। যুবকের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিশাখা তাঁকে সেখানে ডেকে আত্মীয়দের দিয়ে মারধর করান। 


আক্রান্ত যুবক শ্যামল হালদার জানিয়েছেন, ফোন করে ডাকে বিশাখা বর্মন। বিয়ের আগে সম্পর্ক ছিল। আমাকে ফোন নম্বর দেয়। স্বামী এখানে নেই। তুমি এস। আমি ওকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য আসিনি। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সম্পর্ক ছিল। ওই আত্মীয়রা আমাকে মারধর করে।


অভিযোগ অস্বীকার করে বধূর দাবি, জোর করে এসেছিলেন শ্যামল। ধূপগুড়ির গৃহবধূ বিশাখা বর্মন জানিয়েছেন, ফোন করে ডাকিনি। বিয়ের পরও তিন বছর ধরে যোগাযোগ রেখেছে। জোর করে আসত। ভয় দেখাত। স্বামী-সন্তান আছে আসতে বারণ করেছিলাম। ওই নিজে এসেছে। 


গৃহবধূর আত্মীয় সুমন্ত বর্মনের কথায়, ছেলেটাই ফোন করেছিল। আজকে আসে। ভাগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আসত। পিসির কাছ থেকে শুনেছি। মারধরের অভিযোগে বধূর স্বামী রাজকুমার বর্মন ও বাবা রবি মাল্য দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত যুবককে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: ফেসবুক লাইভে ক্ষোভপ্রকাশ, উত্তর ২৪ পরগনায় প্রকাশ্যে বিজেপির দ্বন্দ্ব


আরও পড়ুন: Shantipur: শান্তিপুরে উপ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তৃণমূল-বিজেপি ২ পক্ষই