রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং এর সময় উদ্ধার হল বিদেশি  প্রজাতির কুকুর ও বিড়াল।   ৮ টি বিড়াল ও ১৫ টি কুকুর পাচারের আগেই উদ্ধার করল কোতয়ালি থানার পুলিশ। 


জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত জানান জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ নাকা তল্লাশির সময় জলপাইগুড়ি থেকে আসামগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই  কুকুর ওবিড়ালগুলিকে উদ্ধার করে।পাঞ্জাব থেকে নাগাল্যান্ড পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই কুকুর ও বিড়ালগুলিকে। পাচারেই আগেই পুলিশ উদ্ধার করে ওই কুকুর ও বিড়ালগুলিকে। যাদের কাছ থেকে ওই কুকুর ও বিড়ালগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না । এরপর পুলিশ এই কুকুর ও বিড়ালগুলো উদ্ধার করে।   রয়েছে পার্সিয়ান ক্যাট এবং পাগ ,বিগল, গোল্ডেন রিট্রেভার ,ল্যাবরেডর সহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির কুকুর ।


ধৃত হরজিন্দার সিংহ জানান,আমরা বিক্রির উদ্দেশ্যেই এই কুকুর ও বিড়াল পাঞ্জাব থেকে নাগাল্যান্ড নিয়ে যাচ্ছিলাম।আমরা নিয়ে যাবার সময় আট ঘন্টা পরপর খাবার খাইয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের ধরে।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কলকাতাগামী ডাউন যোগবাণী এক্সপ্রেস ট্রেনের এস ৩ কামরা থেকে প্রায় আড়াইশো টিয়া পাখি উদ্ধার করেছিল মালদা টাউন জিআরপি। তবে কামরায় পুলিশের আসার আগেই পাচারকারী ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে গিয়েছিল। মালদা টাউন স্টেশনের জিআরপি আইসি ভাস্কর প্রধান জানিয়েছিলেন,  বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে জিআরপি  কর্মীরা ডাউন যোগবাণী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালান। সেই  সময় এস ৩ কামরার  শৌচাগারের পাশ থেকে চারটি খাঁচায় বন্দি থাকা টিয়াপাখি উদ্ধার করে জিআরপি। প্রায় ২৫০ টি টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়। এর আগেও জিআরপি পুলিশ যোগবাণী ট্রেন থেকে ১৭৫ টি পাখি উদ্ধার  করেছিল। আইসি ভাস্কর প্রধান জানান, পাখিগুলি যোগবাণী এক্সপ্রেসে পাচারকারীরা কলকাতার বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ পাচারের আগেই টিয়া পাখি গুলিকে উদ্ধার করে ফেলে। উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখি গুলি মালদা বনদফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


এর কিছুদিন আগেই ভারত-নেপাল সীমানা সংলগ্ন বিহারের অরারিয়া থেকে কলকাতাগামী যোগবাণী ট্রেন থেকে  প্রায় ১৭৫ টি টিয়াপাখি উদ্ধার করা হয়েছিল। মালদা টাউন স্টেশনের জিআরপিও সে বারও এই এক্সপ্রেস ট্রেনে সংরক্ষিত কামরা থেকে পাখিগুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল। খাঁচায় বন্দি করে পাখিগুলি কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। 


আরপিএফ এর আগে গত ২৭ জুলাই যোগবাণী এক্সপ্রেস থেকে প্রায় এক হাজার টিয়া পাখি উদ্ধার করেছিল। এরপর গত ৩ অগাস্ট রাতে ফের ওই ট্রেনেরই সংরক্ষিত কামরায় চারটি খাঁচায় বন্দি টিয়াপাখি উদ্ধার করা হয়। সেদিনও গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই হানা দিয়ে টিয়া পাখিগুলি উদ্ধার করেছিল মালদা টাউন জিআরপি। সেবারও কামরায় জিআরপি পৌঁছনোর আগেই পাচারকারী গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়েছিল। উদ্ধার করা টিয়া পাখিগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। মালদা বন বিভাগের রেঞ্জ আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, খাঁচাবন্দি উদ্ধার টিয়া পাখিগুলির মধ্যে একটির মৃত্যু হয়েছিল। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।