কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে তা নিয়ে বিক্ষোভ প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরে। পড়ুয়াদের আন্দোলনের পর লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, কাল কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের দুই সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে এই দুই বিশ্ববিদ্যায়। কবে ফের চালু হবে ক্লাস ? এই দাবিতেই আন্দোলনে সামিল হয় পড়ুয়াদের একাংশ। সোমবার রাতে মিছিল করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবন অরবিন্দ ভবনে অবস্থানে বসে পড়েন পড়ুয়াদের একাংশ। দফায় দফায় বৈঠক হয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের। বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাত পর্যন্ত আটকে থাকেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও অধ্যাপকরা। শেষমেশ রাত সাড়ে বারোটার পর ওঠে অবস্থান বিক্ষোভ।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। বুধবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই সরকারকে আবেদন করা হয়েছে। ক্যাম্পাস কবে খোলা হবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে নেই। সরকারই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর,  ক্লাস চালু নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের কথা সরকারকে জানানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে কী কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনা হবে।


যাদবপুরে অবস্থান বিক্ষোভ উঠলেও, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলে। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কমিটি গড়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী এক ছাত্র বলেন, ক্লাস শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করা হোক, পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হোক। নাহলে প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাবে, আন্দোলন চালাব।


প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক আন্দোলনকারী ছাত্রী বলেন, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ক্লাস খোলার দাবিতে আন্দোলন চলছে, তখন ইতিমধ্যেই সশরীরে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে রাজ্যের বিভিন্ন ITI এবং পলিটেকনিক কলেজে। উল্লেখ্য, গতকালই সে ছবি দেখা গেছে।