কাবুল: তালিবানকে সমর্থন করছে পাকিস্তান। এই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কাবুলের রাস্তায় নামলেন শতাধিক মহিলারা। বেশ কয়েকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে কাবুলে পাকিস্তান বিরোধী মিছিলে গুলি চালিয়েছে তালিবান। ওই ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। আফগানিস্তানের রাজধানী পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
শুধু কাবুল নয়, তালিবান বিরোধী মিছিল হয়েছে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে। গজনি, মাজার এ শরিফে তালিবানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন আফগানরা। তালিবানকে মদতের কারণে কাবুলে পাকিস্তানের দূতাবাসের বাইরেও বিক্ষোভ দেখান অনেকে। আহমেদ মাসুদের ডাকে তালিবানের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত হতে শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, আগের জমানায় আফগানিস্তানে পুলিশের শীর্ষপদে থাকা এক মহিলা অফিসার ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কাছে তাঁর প্রাণরক্ষার কাতর আবেদন জানিয়েচেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারের ব্যবস্থা না করলে তালিবান তাঁকে খুন করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই মিছিলের ভিডিও।সেখানে দেখা গিয়েছে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন আফগান নাগরিকরা। তাঁদের মুখে শোনা গিয়েছে, ‘স্বাধীনতা চাই’ থেকে ‘পাকিস্তান দূর হঠো’ স্লোগান।
এরইমধ্যে সোমবার খুলে গেছে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তালিবানের নতুন নিয়মের কারণে প্রথমদিন পড়ুয়া ও শিক্ষকরা প্রায় কেউই আসেননি।
এদিকে,আজ সন্ধেয় আফগানিস্তানে সরকার গঠনের ঘোষণা করল তালিবান। তাদের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির প্রধান মোল্লা মহম্মদ হাসান আখুন্দ হবে আফগানিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তালিবানের প্রধান নেতা হেবাতুল্লা আখুন্দজাদা এই ঘোষণা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব যাচ্ছে সিরাজুদ্দিন হক্কানির হাতে। মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরকে করা হয়েছে উপপ্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে মোল্লা ইয়াকুব। বিদেশমন্ত্রী হচ্ছে আমির মুত্তাকি।
তালিবান সূত্র উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতে জানানো হয়েছে, যার নাম সম্ভাব্য তথ্যমন্ত্রী হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই মোল্লা জবিউল্লা মুজাহিদ হচ্ছে দেশের প্রধানের মুফপাত্র। গত সপ্তাহে তালিবান নতুন সরকার গঠন স্থগিত করে দিয়েছিল। কারণ, তারা আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য ব্যাপক ও অংশীদারিত্বযুক্ত সরকার গঠনের জন্য আলোচনা করছিল।