জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা (TMC Leader) মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙালেন জেলা তৃণমূল মুখপাত্র তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে উপহার দিলেন গীতা। 


জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতির দফতরে এদিন আসেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ নেতা। তারপরেই মিষ্টি খাইয়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামতে বলেন দুলাল দেবনাথ। তৃণমূলের সঙ্গেই আছি, প্রচারেও নামব, বৈঠকের পর দাবি বিক্ষুব্ধ নেতার।


পরে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, "উনি আমাদের দলে ছিলেন, দলে আছেন, দলে থাকবেন। উনি আমাদের দলের সম্পদ। কখনও দলবিরোধী কাজ করেননি, আগামীদিনেও করবেন না। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন এবং উনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। বিষয়টা বিচারাধীন। কিন্তু, উনি দলের সম্পদ। আমাদের সিনিয়র নেতারা ওঁকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। জেলার তিনটি পুরসভার ৫৭টি আসনে উনি প্রচার করবেন।"


মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "উনি আমার বন্ধু হন। ডেকেছিলেন। তাই এসেছি। উনি তো দলের লোক। ডেকেছিলেন, তাই এসেছি। আমাকে একটা গীতা উপহার দিলেন। নেত্রীর একটা ছবি দিলেন। আমি খুশি। দলের বাইরে তো কিছু না। দলের সঙ্গেই আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। বুকে আছেন। বুকেই থাকবেন সারাজীবন।"


প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশের পরও, মনোনয়ন দিতে পারেননি জলপাইগুড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়তে চাওয়া মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুর বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে একজন নাগরিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন। কিন্তু, প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে বাধা দিচ্ছে। এটা আমাকে বিব্রত করেছে।


মামলাকারীর আইনজীবী অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও, তিনবারের চেষ্টাতেও মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি মলয় বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, নির্ধারিত সময়ের পর গিয়ে পৌঁছন নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করতে চাওয়া ওই ব্যক্তি। সরকারের আইনজীবী আরও বলেন, হলফনামায় সব জানানো হবে।


সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, ইতিমধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাই আদালত আর হস্তক্ষেপ করবে না।