পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথি (Contai) কলেজে ‘দুর্নীতি’র মামলায় সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari) বিরুদ্ধে ‘এফআইআর’ (FIR) দায়ের। কাঁথি কলেজে ভবন তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে কাঁথি আদালতের এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলা কাঁথি আদালতে পাঠায় হাইকোর্ট। তারপরেই পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেয় কাঁথি আদালত। এ প্রসঙ্গে সৌমেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, 'কোনও নথি পাইনি, মন্তব্য করব না।' উল্লেখ্য, কাঁথি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু।


আরও পড়ুন: Jalpaiguri : নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে পড়ল পুলিশ ভ্যান, ৯ পুলিশকর্মী-সহ আহত ১০


অন্যদিকে দুয়ারে শুভেন্দু অধিকারী। এই বলেই কাঁথিতে পুরভোটের প্রচার শুরু করলেন বিরোধী দলনেতা। এদিন কাঁথির খড়গপুর বাইপাস সংলগ্ন মন্দিরে পুজো দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর কাঁথি শহরের ৬টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার শুরু করেন তিনি। মুখে দুয়ারে শুভেন্দু স্লোগান। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার ও স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী প্রচার শুরু করলেও, দীর্ঘ ৩৬ বছর পর এবার কাঁথি পুরভোটে অধিকারী পরিবারের কোনও প্রতিনিধি নেই।


অথচ বিভিন্ন সময়ে শিশির অধিকারী থেকে শুরু করে সৌম্যেন্দু অধিকারী, পরিবারের একাধিক সদস্য কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন। শেষবারও চেয়ারম্যান হন সৌম্যেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। যা নিয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতির কটাক্ষ, পরাজয় অনিবার্য বুঝে, ভয়ে পরিবারের থেকে কাউকে প্রার্থী করা হয়নি। পাল্টা কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌম্যেন্দু অধিকারীর দাবি, বিজেপি কোনও প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। দল যাঁকে উপযুক্ত মনে করেছে, তাঁকেই প্রার্থী করেছে।  



এর আগে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি , ৪ পুরসভার ফল ঘোষণার দিন হাজরায় আশুতোষ কলেজের কাছে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারী কলেজ পড়ুয়াদের দিকে তেড়ে যান বিরোধী দলনেতা। উস্কানি দিতে গেছিলেন, কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শ্যামাপ্রসাদ অনুশীলন কেন্দ্র পরিচালন সমিতি। সেখানেই যোগ দিতে গেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আশুতোষ কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ। তিনি ফেরার সময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ওঠে স্লোগান।