Inflation Hits Hard:  মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কায় এমনিতেই নাজেহাল সাধারণ মানুষ। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে প্রচুর। বিগত কিছুদিন নতুন করে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি না হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামে স্বস্তির খবর নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে হু হু করে। এবার সাবান, ডিটারজেন্ট ও ডিস ওয়াশের মতো অন্যান্য সামগ্রীও মহার্ঘ হতে চলেছে। দেশের সবচেয়ে বড় এফএমজিসি কোম্পানি হিন্দুস্তান ইউনিলিভার ওই পণ্যগুলির দাম বাড়িয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসেই কোম্পানি এই পণ্যগুলির দাম ৩ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। 


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, কাঁচামালের দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলায় কোম্পানি এই পণ্যগুলির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যাতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি পণ্য বিক্রয় মারফৎ উঠে আসে। গত ডিসেম্বরেই কোম্পানি ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, তারা ধাপে ধারে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে। 


ব্রোকারেজ ফার্ম এডেলউইয়েস সিকিওরিটিজ বলেছে, কোম্পানি ফেব্রুয়ারিতে সাবান, ডিটারজেন্ট, ডিসওয়াশ ও অন্যান্য উৎপাদিত প্যের দাম ৩ থেকে ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে। ব্রোকারেজ ফার্ম একটি নোটে জানিয়েছে, আমাদের চ্যানেলের অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে যে, সার্ফ এক্সেলের ইজি ওয়াশ, সার্ফ এক্সেল কুইক ওয়াশ, ভিম বার ও লিকুউড, লাক্স ও রেক্সোনা সাবান, পন্ডস ট্যালকম পাউডারের দামে বৃদ্ধি ঘটেছে। 


জানুয়ারিতেই এইচইউএল হুইল, সার্ফ এক্সেল, লাইফবয় রেঞ্জের পণ্যে দাম ৩ থেকে ২০ শতাংশ বাড়িয়েছিল। এইচইউএল ডিসেম্বর ও সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে চা, কাঁচা পাল তেব ও অন্য কিছু পণ্যের দাম বাড়ার কারণে দামে বৃদ্ধি করেছিল।


শিল্প মহলের বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবান ও ডিটারজেন্টের কাঁচামালের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। গত ছয় মাস ধরে ওই কাঁচামালগুলির দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পার্সোনাল ও হোম কেয়ার সংস্থার এইচইউএলের মতো সংস্থাকে পণ্যগুলির দাম বারেবারেই বাড়তে হয়েছে। ফলে মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতিতে নানা জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির মধ্যেই  ফের ধাক্কা লাগছে সাধারণ মানুষের পকেটে।