রাজা চট্টোপাধ্যায় ও অরিন্দম সেন, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার: বোনাস নিয়ে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষ। তার জেরে পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের ৩টি চা বাগান। রাতের অন্ধকারে বাগান ছেড়ে পালাল মালিক পক্ষ। দুই জেলায় কাজ হারালেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। 


গোটা রাজ্য যখন উৎসবের মরশুম, ঠিক তখনই ডুয়ার্সের ৩টি চা বাগানে নেমে এল একরাশ অন্ধকার। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট ও কালচিনিতে পর পর দু’দিন ২টি চা বাগানে তালা ঝুলিয়ে দিল মালিপক্ষ। মাদারিহাটের মুজনাই চা বাগান। এবার ২০ শতাংশ বোনাস দাবি করেছিলেন শ্রমিকরা। তবে অভিযোগ, তাই নিয়ে টানাপোড়েন চলাকালীন বৃহস্পতিবার বাগানে তালা মেরে পালিয়ে যায় মালিক পক্ষের লোকজন।                                                                               


পুজোর মুখে অনিশ্চয়তার অন্ধকার: ফলে কর্মহীন হয়ে পড়লেন মুজনাই চা বাগানের ১ হাজার শ্রমিক। ঠিক তার আগের দিন, কালচিনি ব্লকের রায়মাটাং চা বাগান বন্ধ হয়। কাজ হারান প্রায় ১২০০ শ্রমিক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলার দু'টি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা আতান্তরে পড়লেও, রাজনৈতিক দলগুলি দায় এড়াতে ব্যস্ত। 


জলপাইগুড়ির বানারহাটের চামুরচি চা বাগানেও একই ছবি বোনাস নিয়ে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে শুক্রবার বাগানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। শ্রমিকদের দাবি, বোনাস নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও, কাজ বন্ধ করেননি তাঁরা। এরপরও আলোচনা না করেই বিনা নোটিসে বাগান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বাগানে তালা ঝোলায় কাজ হারিয়েছেন ১ হাজার ৭৪ জন স্থায়ী শ্রমিক।


বানারহাটের এই বাগানটি ইন্ডিয়ান টি প্ল্য়ান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে।মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও, ফোন ধরেননি সম্পাদক অমিতাংশু চক্রবর্তী। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে আঁধার নেমেছে ডুয়ার্সের ৩টি চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিকের পরিবারে।                                      


আরও পড়ুন: TMC: হামলা, শূন্যে গুলি! তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে 'মারধর'-এর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে