কলকাতা: তিনি বলিউডের ড্রিম গার্ল। বিখ্যাত ছবি ‘শোলে’র বাসন্তী! শুধুমাত্র সিনেমার পর্দাতেই নয়, পরিচালনাতে  নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন হেমা মালিনী। আর তারপর বড় পর্দা থেকে সোজা রাজনীতির আঙিনায়। সেখানেও উজ্জ্বল তিনি। আজ ১৬ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। ১৯৪৮ সালের আজকে এই দিনে এক তামিল পরিবারে তাঁর জন্ম হয়।


তামিল ছবি দিয়ে ক শুরু করলেও বলিউডে ‘সোলে’, ‘সীতা ঔর গীতা’, ‘মিরা’, ‘কিনারা’, ‘সন্ন্যাসী’, ‘মেহবুবা’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘প্রেম নগর’, ‘খুশবু’র মতো ছবি দিয়ে তিনি বারবার নিজেকে প্রমাণ করতে থাকেন। অল্প সময়ে হয়ে ওঠেন সবার মনের ‘ড্রিম গার্ল’। মোট ১১ বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান হেমা। ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মান লাভ করেন।


আরও পড়ুন...


ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে সোজা 'নায়ক'! কুমুদলাল হয়ে উঠলেন 'হার্টথ্রব' অশোককুমার


অভিনেত্রীর জীবনের অজানা তথ্য়


অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন হেমা মালিনী। আজও তাঁর ভক্ত সংখ্যা কম নয়। তিনি হিন্দু ধর্ম পালন করেন। স্বামী ধর্মেন্দ্রও হিন্দু। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, দু’জনে বিয়ের সময় মুসলিম ধর্ম নিয়েছিলেন। ধর্মেন্দ্র আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। হিন্দু ধর্মে একটি স্ত্রী থাকলে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় না। আবার প্রথম স্ত্রীকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না তিনি। মুসলিমদের একাধিক বিয়েতে অসুবিধা নেই। তাই বিয়ের আগে মুসলিম হয়ে থাকলেও সেই পরিচয় গোপন রাখেন হেমা মালিনী।


সম্পর্কের টানাপোড়েন


তখন দুজনই পরিচিত মুখ। জিতেন্দ্র, হেমা মালিনী। পাত্র হিসেবে জিতেন্দ্রকে পছন্দ ছিল হেমার মা-বাবারও। শোনাযায়, জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর একদম শেষ মুহূর্তে নাকি তা ভেঙে দেন হেমা। বাড়ি থেকে বহু চেষ্টা করেও হেমা মালিনীর বিয়ে জিতেন্দ্রর সঙ্গে দিতে পারেনি। যাতে ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে সরিয়ে আনা যায় হেমাকে। শোনা জায়, সঞ্জীব কুমারও হেমা মালিনীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। হেমা প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সঞ্জীব মদের নেশায় ডুবে যান। নিজের আত্মজীবনীতে হেমা লিখেছেন, বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব ছিল তাঁর।


ফিরে আসা বিরতির পর


বেশ কয়েক বছর ফিল্ম থেকে বিরতি নেওয়ার পরে, মালিনী বাগবানের (২০০৩) মাধ্যমে ফিরে আসেন, যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন। তিনি ২০০৪ সালে নির্মিত 'বীর-জারা' ও 'লাগা চুনারি মে দাগ' অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ২০১০ সালে তিনি অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে সাদিয়ানে অভিনয় করেছিলেন। ২০১১ সালে, তিনি তার তৃতীয় ফিচার ফিল্ম টেল মি ও খুদা প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছিলেন, এতে তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্র এবং তাঁর মেয়ে এশা দেওল উভয়ই অভিনয় করেছিলেন, যা বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছিল। ২০১৭ সালে তিনি বিজয় রাজে সিন্ধিয়ার ভূমিকায় এক থা রানী আইসি ভি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial