নদিয়া: শান্তিপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে 'মারধর'। ঠেকাতে গেলে পঞ্চায়েত উপপ্রধানের স্ত্রীকেও মারধরের অভিযোগ। শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভোটের পর থেকেই হামলা চালাচ্ছে বিরোধীরা, অভিযোগ তৃণমূলের। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরেও খুন হয়ে হয়েছিল হাড়োয়ায় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীকে। গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল নেতার শেখ সাহেব আলিকে। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব আলি। রাতে বাড়ি ফেরার পথে ঘিরে ধরে গুলিবৃষ্টি। ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ। রাস্তায় তৃণমূল নেতার দেহ রেখে মাঝরাত। পর্যন্ত বিক্ষোভ, বাইকে আগুন, ভাঙচুর। হামলার অভিযোগ তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে হয়েছিল তুমুল তরজা।
বালিতে শাসক-দ্বন্দ্ব: রাজ্যে শাসক-শিবিরের অন্দরের দ্বন্দ্বও অব্যাহত। বালির নিশ্চিন্দায় শাসক-দ্বন্দ্বে গতকাল গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতা ষষ্ঠী গায়েনকে গ্রেফতার করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। গত সোমবার রাতে পারিবারিক বিবাদ গড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ষষ্ঠী গায়েনের ভাইয়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগ তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনার পরপরই গ্রেফতার হন মূল অভিযুক্ত খোকন গায়েন। অশান্তিতে মদতের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা ষষ্ঠী গায়েন।
ঠিক কী হয়েছিল? গত ১০ অক্টোবর হাওড়ার বালিতে (Bally) জমি নিয়ে দুই খুড়তোতো ভাইয়ের মধ্য়ে পারিবারিক বিবাদ গড়ায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের অনুগামী তৃণমূল নেতার বার কাম রেস্তোরাঁ ও তাঁর সহযোগীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়ের অনুগামীর খুড়তোতো দাদার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় স্কুটি, সাইকেল, চেয়ার। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ির ইলেকট্রিকের মিটার। ভাঙচুর চালানো হয় তৃণমূল নেতার বার কাম রেস্তোরাঁতেও। হাওড়ার বালিতে জমি নিয়ে দুই খুড়তোতো ভাইয়ের মধ্য়ে পারিবারিক বিবাদ গড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে।
আরও পড়ুন: ED: মোট বরাতের প্রায় ২০-৩০ শতাংশ গম সরিয়ে বিক্রি হত খোলা বাজারে! ইডির তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য