জলপাইগুড়ি: স্ট্রংরুমে ব্যালটে (Ballot) কারচুপির অভিযোগে, মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। সেই মামলাতেই স্ট্রংরুমের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে, শুনানি স্থগিত রেখে, সোজা মেখলিগঞ্জে পৌঁছে গেলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা কারণে সেখানেও ফুটেজ না দেখে ফিরতে হল তাঁকে।


উল্লেখ্য, মেখলিগঞ্জের চ্যাংড়াবান্দা স্কুলের স্ট্রংরুমে গণনায় অসঙ্গতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই কোচবিহার এলাকার মেখলিগঞ্জ এলাকার একাধিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে গণনা কেন্দ্রে গড়মিলের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। গতকাল সেই মামলাই উঠেছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন বিডিও-কে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটে কারচুপির অভিযোগে, বিডিও-দের বিরুদ্ধে পথেও নামে বিজেপি।  জেলায় জেলায় বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল তারা। তবে বিডিও-দের ভূমিকা নিয়ে শুধু যে বিরোধীরাই সরব, এমন নয়। একাধিক বিডিওর থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।


কাউকে কাউকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের দিঘরা মালিকবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি বুথে, ভোটারের চেয়ে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি। মোট ভোটার সংখ্য়া যা, ভোট পড়েছে তার থেকে প্রায় ১৬৭ শতাংশ বেশি। এই পরিস্থতিতে হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র থেকে রিপোর্টও তলব করা হয় বিচারপতির তরফে।
 
জ্যাংড়া হাতিয়াড়া দু নম্বর পঞ্চায়েতে ভোটের দিন অনেক ভোটারকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধাদানকারীদের মুখে শোনা গিয়েছিল ভোট বয়কটের অজুহাত। কিন্তু, ভোটের ফল বেরোতেই দেখা যায়। ভোট বয়কটের বুথে ভোট পড়েছে ৯৫ শতাংশ। এই মামলাতেও রাজারহাটের বিডিও-র তথ্য তলব করা হয়।জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে শাঁখোয়াঝোড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটকেন্দ্রে, ভোটের দিনই বুথের বাইরে ৪৭টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনার জলও গড়ায় আদালত পর্যন্ত। BDO-কে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। 


আরও পড়ুন, পেট্রোল ও ডিজেল সস্তা কোন শহরে ? কলকাতায় জ্বালানির দর কত ?


 অপরদিকে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় রাস্তায় ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর কারণ জানতে চেয়ে জাঙ্গিপাড়ার বিডিও-কেও তলব করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ। ভোটগণনার দিন, হাওড়ার বালিতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখা যায়, একাধিক ব্যালট পেপার। সেগুলিতে সিপিএমের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া ছিল। এ ঘটনায় তুমুল হট্টগোল বেধে যায়। এ নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টেও।