রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের বর্তমান জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, কোনও অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করবেন না। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জেলা সভাপতি। প্রত্যাশা মতোই বিক্ষুব্ধ নেতার পাশে দাঁড়িয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)।
বিজেপির অন্দরের দ্বন্দ্ব অব্যাহত জলপাইগুড়িতে। ফের আক্রমণাত্মক জেলা বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী। ফেসবুকে বর্তমান জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশে ফের তোপ দাগলেন তিনি। গত সপ্তাহেই দলের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অলোক চক্রবর্তী।
কেন মণ্ডল সভাপতি পদে বেশিরভাগ নতুন নেতাদের বসানো হয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতিকে ফেসবুক নেতা বলে কটাক্ষ করেন, বর্তমান জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। পাল্টা ফেসবুকেই জেলা নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেন অলোক চক্রবর্তী। তিনি যে দলের কর্মসূচিতে থাকেন তার স্বপক্ষে ছবিও পোস্ট করেন।
জলপাইগুড়ির বিজেপির প্রাক্তন সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তীর কথায়, এখন দল বিভিন্ন ভাবে চমকাচ্ছে ধমকাচ্ছে, বিভিন্ন আওয়াজ তুলছে, তবে সিংহ একটাই, দল বের করে দিলে করবে, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষ করব না, দলে এখন একনায়কতন্ত্র চলছে, সকালে মাফলার দিয়ে চাদর মুড়িয়ে অন্যান্য দলের সাথে আঁতাঁত রেখেছিল তাঁদের খবরও আমার কাছে আছে। এনিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
জলপাইগুড়িতে বিজেপিতে কোন্দল। কটাক্ষ তৃণমূলের। জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র দুলাল দেবনাথের কথায়, অলোকবাবু ফেসবুক নেতা নন, একজন দক্ষ কর্মী ও সৎ ব্যক্তি, উনি দলের সম্পদ ছিলেন, ভাল মানুষের জায়গা ভারতীয় জনতা পার্টিতে নেই, বিজেপির কালচারে ভাল মানুষের জায়গা নেই, আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সাইনবোর্ডে পরিণত হবে। সব মিলিয়ে জেলা বিজেপির অন্দরে যে অসন্তোষ দানা বেধেছে তা থামার কোনও লক্ষণ নেই।