রাজা চট্টোপাধ্যায়,জলপাইগুড়ি:ফের বিজেপিতে বড় ভাঙন। প্রায় আড়াইশো পরিবারকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির দলত্যাগী যুব মোর্চা নেতা।
গত মাসেই দলত্যাগ করেছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা রাকেশ শর্মা। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির যুব মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রমেশ শর্মা পদত্যাগ করেছিলেন। আজ সদলবদলে আজ অনুষ্ঠানিক ভাবে নাগরাকাটায় একটি সভায় তৃণমূলে যোগদান করলেন তিনি। ওই সভায় রমেশ শর্মার নেতৃত্বে ২৫০ টি পরিবারের সদস্যরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।তাঁদের হাতে দলীয় ঝান্ডা তুলে দেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের অনগ্রসর কল্যান দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক।
তৃণমূলে যোগদান সম্পর্কে রমেশ শর্মা বলেছেন, আমি ভারতীয় যুব মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদক ছিলাম। আজ আমি ২৫০ বিজেপি পরিবার নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম। কারণ, বিজেপি কোনও উন্নয়নের কাজ করতে পারছে না। আমিও কিছুই করতে পারিনি। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্য নিজেদের উন্নয়ন। এই কারণেই প্রথমে আমি বিজেপি থেকে পদত্যাগ করেছিলাম। আজ ২৫০ পরিবার নিয়ে দিদির উন্নয়ন দেখে তৃণমূলে যোগ দিলাম।
আমি বিজেপিতে থেকে পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে লোকসভা ভোট, বিধানসভা ভোট সবকটিতেই দলের প্রার্থীকে জেতাতে সাহায্য করেছিলাম। এরপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপি আর করব না। মা-মাটি-মানুষের সরকারের সঙ্গেই থাকব।
বুলুচিক বড়াইক জানিয়েছেন, আজ আমাদের নাগরাকাটায় ২৫০ জন পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগদান করল। কারণ, তাদের বিজেপির ওপর কোনো আস্থা নেই। মানুষের জন্য কাজ করতে হলে তৃণমূল ছাড়া উপায় নেই, সেটা আজ বুঝতে পেরে আজ ওই ২৫০ পরিবার আমাদের দলে সামিল হল।
যদিও এই শিবির বদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। জেলার বিজেপি নেতা সুজিত ভৌমিক বলেছেন, এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। তাঁর কটাক্ষ, ২০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই বিজেপি ও অন্যান্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঢল চলছে। দলত্যাগের কারণে বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূলের দখলে এসেছে বা আসতে চলেছে। এছাড়াও বিজেপি সহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীদেরও তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। জলপাইগুড়িও এর ব্যতিক্রম নয়।