রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘিরে জলপাইগুড়ির হাসপাতালে উত্তেজনা। সরকারি হাসপাতালের গাফিলতির জেরেই মৃত্যু বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


১৮ বছরের তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধুন্ধুমার। পরিবার সূত্রে খবর, জয়পুর চা বাগানের বাসিন্দা সমীর মুণ্ডা কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন।বুধবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।করোনা ধরা পড়ায়  রেফার করা হয় কোভিড হাসপাতালে।


পরিবারের অভিযোগ,অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। কার্যত বিনা চিকিত্সায় কয়েকঘণ্টা হাসপাতালে পড়ে থাকার পর মৃত্যু হয় ওই তরুণের।এরপরই হাসপাতালে ছুটে আসেন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা। ওয়ার্ড মাস্টারকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। 


জলপাইগুড়ি পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম বলেছেন, ভোর ৫টায় হাসপাতালে  আনা হয়েছিল। চিকিত্সার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে। রোগীর পরিবার বারবার বলার পরেও কেউ শোনেনি। 
জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর কারও দোষ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


এদিকে, ভ্যাকসিন দেওয়া কেন্দ্র করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় ক্যানিং থানার পুলিশ। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ক্যানিং মহকুমার হসপিটালে কোভিড শিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ।  ভোর থেকেই মানুষজন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন।  সেখানে মহকুমাশাসকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, এই কথা শুনেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন। তাঁদের দাবি ,যাঁরা প্রথমে এসেছেন, তাদেরই ভ্যাকসিন দিতে হবে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। যদিও এসিএমএইও পরিমল ডাকুয়া জানান,  কোভিড শিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের জন্য ২০০ জন করে প্রতিদিন ভ্যাকসিন করা হবে।কিন্তু এই কোভিড শিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত মানুষ চলে আসায় একটু সমস্যা হয়েছিলো।পরে সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছে।