রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তিন জনের ফাঁসির নির্দেশ। আজ জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর ওই নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের আগস্টে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ এলাকায়। প্রথমে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের পর ওই নাবালিকাকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। 'অপহরণ করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ। গণধর্ষণের পর খুন, ১০দিন পরে দেহ উদ্ধার হয়েছিল', সওয়াল জবাবে এই বক্তব্যই পেশ করে সরকারি আইনজীবী। ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় আদালতে। গতকালই ৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।                                     

এই সাজাকে বিরলতমই বলা হচ্ছে। কারণ একটি ঘটনায় তিন জনের ফাঁসির সাজা ঘোষণা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেনি। সরকারপক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে বিচারক অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন।                                                                                

প্রেক্ষাপট

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ২০০০ সালের ১০ অগাস্ট দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকাকে রহমান আলি নামে একজন সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আর ওই নাবালিকার খোঁজ মেলেনি। ঘটনার দিন রাতেই বাড়ির লোকজন নাবালিকার ফোনে একটি ১০ সেকেন্ডের কল রেকর্ড পায়। যেই কল রেকর্ড থেকে তারা জানতে পারে রহমান বলে একজন ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ এই মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তদন্তে নেমে রহমানকে গ্রেফতার করলেও ওই নাবালিকার খোঁজ মেলেনি। পরে রহমান আলি পুলিশকে জানায়, সে জামিরুল ও সামিরুল মিলে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দেহ প্রধানপাড়া এলাকার কাজিগর রহমান নামে একজনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছে। 

পুলিশ তদন্তে জানতে পারে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। দেহ লোপাট করতে তা সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।