রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: অজানা জ্বরে এক শিশুর মৃত্যু জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে (Jalpaiguri District Hospital )। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা ওই ৬ বছরের শিশুকন্যাকে প্রবল জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারের দাবি, ভর্তির সময়ই শিশুটির অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। গতকালই এই হাসপাতালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত ২৪ শিশু ভর্তি হয়। তবে এখনও পর্যন্ত ২৯ শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।  জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে  ভর্তি রয়েছে প্রায় ১০০ শিশু। মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৮৩ শিশু ভর্তি রয়েছে। 


কারোর ধুম জ্বর। কেউ ভুগছে পেটের অসুখে। কেউ আবার ঘনঘন বমি করছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপে তিলধারণের জায়গা নেই। জলপাইগুড়িতে অসুস্থ এক শিশুর মা জানান, জ্বর হচ্ছেই, জল পট্টি দিলে জল কমছে, কাশি হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গতকালই  আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মূলত ৩ থেকে ৯ বছরের যে শিশুরা বেশি অসুস্থ হচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই ময়নাগুড়ি, ক্রান্তি, ধূপগুড়ি, হলদিবাড়ির বাসিন্দা। জ্বর, বমি, পেটের অসুখের মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি শিশুদের করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষাও করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Howrah: বৃদ্ধার গলার নলি কেটে খুন, পাতকুয়া থেকে দেহ উদ্ধার


এদিকে স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে উত্তরবঙ্গে শিশুদের মধ্যে ইদানিং যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে তা কোভিডের কারণে নয়।  সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, শ্বাসযন্ত্রে অজানা এক ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেই ওই জ্বর হচ্ছে। ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।  সূত্রের খবর, ভাইরাসের চরিত্র জানতে আরও কিছু নমুনা সংগ্রহ করে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও নাইসেডে পরীক্ষা করার কথা। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের যে কোনও ভিড় থেকে দূরে রাখা ও ঘন ঘন হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিত্‍সকরা।  


আরও পড়ুন: Agnimitra Pal Twitter Hacked: অগ্নিমিত্রা পালের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগ, তদন্তে লালবাজার