রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সন্ধ্যা নামতেই গুরুমারা অভয়ারণ্যের মূর্তির রাস্তায় পর্যটক দের গাড়ি আটকাল দল ছুট হাতি। ফের হাতির সাথে সেল্ফি ও ছবি তুলতে গাড়ি নিয়ে হাতির কাছে ছুটে গেল উৎসাহিত পর্যটক। চাঞ্চল্য ছড়াল মূর্তি এলাকায়। দীর্ঘ গাড়ির লাইন গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও খুনিয়া জঙ্গলের মাঝ দিয়ে যাওয়া রাজ্য সড়কে।
মাসের প্রথম রবিবার, তাই ছুটি কাটাতে অনেকেই এসেছিলেন ডুয়ার্সে। আর সকালে বৃষ্টির পর রৌদ্র উজ্জ্বল আবহাওয়ায় প্রকৃতি যেন আরও সুন্দর হয়ে উঠে। ঠিক সেই সময় আবারও জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসল হাতি। আর যার ফলে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে পড়ল প্রচুর যানবাহন। যে কারণে সবাই ডুয়ার্সে আসেন সেই নদী, জঙ্গল, পাহাড় দেখতে আর তার সঙ্গে উপরি পাওনা হাতির দেখা পাওয়া।
কিছুদিন আগেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চা বাগানে ঢুকেছিল তিনটি হাতি। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল চা বাগানে। বন্ধ বাগানের স্বাভাবিক কাজ কর্ম। ডুয়ার্সের ডায়না জঙ্গল থেকে তিনটি হাতি রেতি জঙ্গলে যাওয়ার পথে কাঠালগুরি চাবাগানে ঢুকে পরে। সুর্যের আলো ফুটে ওঠায় হাতির দল চা বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় ও তাঁর দল এবং ঘটনা স্থলে পৌছেছে বানারহাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। হাতির দলটির উপর চালানো হচ্ছে নজর দারি। সন্ধ্যার পর জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বনাধিকারিকরা।
কিছুদিন আগেই নকশালবাড়ির কিরনচন্দ্র চা বাগানে একপাল হাতির লাইন পারাপারের ছবি উঠে এসেছিল। শীতের আগমন শুরুর মুখেই ফের আনাগানা শুরু গজরাজের দলের। হাতির কোরিডর হিসেবে পরিচিত নকশালবাড়ির কিরণচন্দ্র চাবাগানের মধ্যে দিয়ে এদিন একপাল হাতির দলকে পারাপার করতে দেখা যায়। ৩০-৩৫টি হাতির দল এদিন চা বাগানের মধ্যে দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক এবং রেললাইন পার করে ব্যাংডুবির জঙ্গলে ফিরে যায় বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে। শীতের আগমন হতেই হাতির দল খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ঢুকে পরে। এদিনও সেই ঘটনা বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাপিয়ে গেল ২০১১ সালের রেকর্ড, একুশের বিধানসভা ভোটের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয় মমতার