কাবুল: ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল। তালিবান মুখপাত্রের মায়ের অন্ত্যেষ্টির সময় মসজিদে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। 


এই ঘটনার পর তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ টুইট করে জানিয়েছে, কাবুলের ইদগাহ মসজিদের পাশে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই মসজিদে তালিবান নেতা জাবিউল্লা মুজাহিদের মায়ের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া চলছিল। নেতা জানিয়েছেন হত সপ্তাহেই তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে।


তিনি এও বলেন, বন্ধু ও পরিজনরা সেখানে উপস্থিত হয়েছিল। সংবাদসংস্থা এএফপিকে ওই মসজিদের পাশের দোকানের এক বিক্রেতা জানান যে তিনি ইদগাহ মসজিদে বিস্ফোরণের খবর পান এবং এরপর বন্দুকের গোলাগুলিরও আওয়াজ শোনেন। এদিকে এই ঘটনার আগেই তালিবানরা ওই রাস্তা বন্ধ করেছিল যাতায়াতের জন্য। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা জানিয়েছেন যে দুটি এলাকা থেকে বোম ব্লাস্টিংয়ের আওয়াজ শোনেন তাঁরা। বোমা বিস্ফোরণে আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে কাবুল হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। টুইটারে ওই হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে চার জন রোগী গুরুতর আহত। সংবাদসংস্থার সাংবাদিকরা জানান যে রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ওই মসজিদের বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখেন তাঁরা। 


এরআগে, গত ২৯ অগস্ট কাবুলে যে এয়ারস্ট্রাইক করেছিল মার্কিন সেনা সেই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ আফগানের। এঁদের মধ্যে ৭ জন ছিল শিশু। কাবুলের ড্রোন হামলা প্রসঙ্গে সেই হামলার দায় স্বীকার করল মার্কিন জেনারেল। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার কেনেথ ম্যাককেঞ্জি শুক্রবার স্বীকার করেছেন যে কাবুলে আগস্টের শেষের দিকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে ৭ শিশু সহ আরও তিন ব্যক্তি। পেন্টাগনের প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ম্যাককেঞ্জি সাংবাদিকদের বলেন, "তদন্তের ফলাফল পর্যালোচনা করার পর, আমি এখন নিশ্চিত হয়েছি যে সেই হামলায় সাতজন শিশু সহ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।"