রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভুটানে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ডুয়ার্সে হাতিনালার জল বেড়ে বিন্নাগুরিতে ভাঙলো কালভার্ট। গয়েরকাটার সঙ্গে বানর হাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এখনই ঠিক হওয়ার আশঙ্কা নেই। ফলে ঘুরপথেই চলছে যানবাহন ও যাতায়াত।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে গোরখপুর ও পুর্ণিয়া হয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুরে৷
হাওয়া অফিসের খবর, শক্তিশালী দক্ষিণা বায়ু কিংবা দক্ষিণ পশ্চিমা বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে যাচ্ছে একেবারে উত্তর-পূর্বে। এই সক্রিয়তা বজায় থাকবে আগামী ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত। ২৬ অগাস্ট থেকে মৌসুমী অক্ষরেখা ফের দক্ষিণের দিকে যেতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতেও মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। টানা বৃষ্টির জেরে বাড়বে নদীর জলস্তর, এমনটাই জানান হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিচু এলাকায় তাই প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও পাহাড়ি এলাকায় ধসের সম্ভাবনার সতর্কতা জারি হয়েছে৷
গত বছরও ভুটান থেকে জল ছাড়ায় নদী গর্ভে চলে গিয়েছে গয়েরকাটা চা বাগানের বিস্তীর্ণ অংশ। জ্যোতির্ময় কলোনি এলাকাতেও জল ঢুকেছিল। হাতি নালার জল ঢুকে বিন্নাগুড়ি, তেলিপাড়া চা বাগান প্লাবিত হয়েছিল।
কিছুদিন আগেই প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার পথে ধস নামে। ২৯ মাইলের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে যান চলাচল। গাড়ির লম্বা লাইনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যাত্রীরা। ২৯ মাইলের কাছে বড়সড় ধস নামার জেরে প্রায় ২-৩ কিমি রাস্তা জুড়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পাহাড়ি এলাকায় দফায় দফায় ধস নামার জেরে সমস্যায় পড়েছিল যাত্রীরা।