রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: আজ দশমী। কৈলাসে ফিরছেন উমা। বাতাসে বিষাদের সুর। ঘাটে ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা। বৈকন্ঠপুর রাজবাড়িরতে পান্তা ভাত, কচু শাক, ইলিশ মাছ, পুটি মাছ নিবেদন করে উমাকে বিদায় প্রক্রিয়া শুরু করলেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। এরপর বৈকন্ঠপুর রাজবাড়িতে সিঁদুর খেলায় মাতলেন মহিলারা।
বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ীর দশমীর সকালে প্রাচীন রীতি মেনেই মাকে প্রথমে পান্তা ভাত, কচু শাক, শাপলা, ইলিশ মাছ, পুঁটি মাছ ভাজা দিয়ে নিবেদন করে তারপরেই মাকে সিঁদুর ছুঁয়ে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ পরিবারের সদস্যরা। তবে, এবার সব প্রাচীন প্রথা ঠিক থাকলেও এবার একটি প্রথায় ব্যতিক্রম হয়েছে বৈকন্ঠপুর রাজবাড়িতে। যদিও এবার কোনও কারণবশত শূন্যে গুলি ছুড়ে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া এবার স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ পরিবারে সদস্যরা।
দেবীকে সিঁদুর ছোয়ানোর পর থেকেই ধীরে ধীরে মহিলাদের ভিড় বাড়তে থাকে রাজবাড়ি চত্বরে। উমাকে সিঁদুরে বরণের পর শুরু হয় সিঁদুর খেলা। বেলা বাড়তেই গোটা রাজবাড়ি চত্ত্বর কার্যত ভিড় বাড়তে শুরু করে যুবক যুবতীদের। শুরু হয় নাচ, তারপর শুরু হয় ভাসান পর্ব। এদিন রাজবাড়ির নাট মন্দির সংলগ্ন পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করে শুরু হয় মিষ্টি বিতরণ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে