রাজা সিং, জলপাইগুড়ি: নালায় আটকে পড়লো হস্তি শাবক। গোটা ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়। ডুয়ার্সের কারবালা চা বাগানের ঘটনা এটি। ঘটনাস্থলে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায়,  জলপাইগুড়ি অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরীসহ বনকর্মীরা উপস্থিত হয়। এরপর হস্তি শাবককে নালা থেকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন তাঁরা। 


বনকর্মীদের অনুমান কারবালা চা বাগানের পাশেই রেতী জঙ্গল। সম্ভবত সেই জঙ্গল থেকেই দল হাতির সঙ্গে শাবকটি চা বাগানে চলে এসেছিল। তাদের সঙ্গে হস্তিশাবক নালা পেরোতে গিয়ে পড়ে যায়। রাতের বেলা কোনো ভাবে বাগানের ডিভিশন লাইনে বাগানের নালায় কোনো ভাবে পরে যায় শাবকটি, সেখানেই আটকে যায় হস্তি শাবকটি।  কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় হস্তিশাবককে উদ্ধার করে আজ সকালে জঙ্গলে ফেরান বন কর্মীরা। 


বেশ কিছুদিন আগে আলিপুরদুয়ারে কিং কোবরার ছোবলে হার্টফেল হাতির, নালা থেকে উদ্ধার হয়েছিল দেহ। আলিপুরদুয়ার জেলার দলসিংপারার গতিবাড়ি এলাকায় শুক্রবার সকালে স্থানীয় মানুষ দেখতে পায় মৃত হাতির দেহটি। সাপের ছোবলের কারণেই হার্টফেল করে হাতির মৃত্যু, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পশ্চিম) পারভিন কাসওয়ান। হাতির শুঁড়ের সামনের অংশে ছোবলের ধরন দেখে তা কিং কোবরা সাপ বলেই মনে করছেন বনদফতরের বিশেষজ্ঞরা।


অন্যদিকে, সাত সকালে ঝাড়গ্রাম শহর লাগোয়া ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়াল দলমার দলছুট দাঁতাল। হেঁটে বেড়াল এদিক-ওদিক। এদিন বালিভাষা এলাকায় হাতির দাপাদাপিতে একঘণ্টা জাতীয় সড়কে বন্ধ রইল যান চলাচল। শেষমেষ বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে দলছুট দাঁতালকে কব্জা করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন। 


বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের জঙ্গল অন্তর্গত সীমানার নিকাশি নালায় মৃত হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখে খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে। এরপর বনদফতরের রেঞ্জ আধিকারিকরা এসে শুরু করে তদন্ত। পুরুষ পূর্ণ বয়স্ক হাতির ছোটো দাঁত দুটি অক্ষতই রয়েছে।  বনদফতর সূত্রে জানা যায়, মৃত হাতির দেহে বহিরাগত কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে সাধারণ মৃত্যু মনে হলেও ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যায়।